স্থানীয় ব্রাহ্মণ বসান স্কুলের ছাত্র রূপম মুলা প্রতিদিনের মতো সাইকেলে চেপে স্কুলে যাচ্ছিল। গ্রামের সরু রাস্তা ধরে যাওয়ার সময় আচমকাই পিছন থেকে দ্রুত গতিতে একটি ওভারলোড ট্রাক চলে আসে। অতিরিক্ত বোঝাই করা পাথরচিপসে ভর্তি ট্রাকটি সাইকেলটিকে ধাক্কা দিলে মুহূর্তের মধ্যে সাইকেল গিয়ে পড়ে ট্রাকের চাকার নিচে। দুমড়ে-মুচড়ে যায় সাইকেল।
আরও পড়ুনঃ দুই ট্রেকারের রেষারেষিতে মর্মান্তিক পরিণতি! বেপরোয়া গতি কাড়ল প্রাণ, জাতীয় সড়কে হাহাকার
advertisement
অবিশ্বাস্যভাবে বেঁচে যায় রূপম। সাইকেল ধ্বংস হলেও স্থানীয়দের তৎপরতায় ও অন্যান্য সহপাঠীদের সহযোগিতায় রূপমকে উদ্ধার করা হয় ট্রাকের তলা থেকে। উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, সামান্য দেরি হলেই ছাত্রটির প্রাণহানি ঘটতে পারত। ঘটনার পরেই স্থানীয় বাসিন্দারা প্রবল ক্ষোভে ফেটে পড়েন। স্কুলের সময়ে এভাবে গ্রামীণ রাস্তায় ভারী গাড়ি চলাচল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষোভ জমে ছিল। এই দুর্ঘটনা ঘটতেই উত্তেজিত জনতা ট্রাকটিকে ঘিরে ধরে এবং ভাঙচুরের চেষ্টা করে। এলাকায় বিক্ষোভ শুরু হয়।
খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দাসপুর থানার পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে স্থানীয়রা। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ট্রাকটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিদিন সকাল-বিকেলে এই রাস্তায় অসংখ্য ওভারলোড ট্রাক চলাচল করে। স্কুলের সময়ে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াত বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। অল্পবয়সি ছাত্রছাত্রীরা সাইকেল বা পায়ে হেঁটে স্কুলে যাতায়াত করে, ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। বহুবার প্রশাসনকে জানান সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। ঘটনার পর এলাকাবাসীর দাবি আরও জোরদার হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, অবিলম্বে গ্রামীণ রাস্তায় ওভারলোড ট্রাক চলাচল বন্ধ করতে হবে। স্কুলের সময়ে কড়া নজরদারি ও বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। না হলে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা।