শ্রীলঙ্কা ও তামিলনাড়ু থেকে আসা শঙ্খ কেটে দাসপুরে শাঁখা তৈরি হয়। এরপর লরি করে তা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের দরবারে। দাসপুরের এই শাঁখা আজ সমাদৃত হচ্ছে নেপাল, আমেরিকা, ইংল্যান্ড সহ বিলেতের বহু হিন্দু পরিবারেও। প্রান্তিক দাসপুরে তৈরি শাঁখা এখন কার্যত রাজত্ব চালাচ্ছে বিশ্বের বহু দেশে।
আরও পড়ুনঃ মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস! অন্যত্র বিয়ের কথা চালাতেই থানায় যুবতী, গ্রেফতার অভিযুক্ত
advertisement
এতদিন জানা ছিল দাসপুর মানে সোনার কারিগর ও ব্যবসায়ীদের ভিড়। এই ‘মিথ’ ভেঙে দেড়শো বছরের শাঁখা শিল্প রমরমিয়ে চলছে দাসপুরের কলমিজোড় শাঁখারী পাড়ায়। শ্রীলঙ্কা এবং তামিলনাড়ুর তুতিকোরিন থেকে জাহাজ ও লরিতে শঙ্খ আসে কাঁসাই নদী পাড় লাগোয়া কলমিজোড় ও কাদেরপুর গ্রামের শাঁখারী পাড়ায়। তারপর সেগুলি অ্যাসিড জলে ফেলে পরিষ্কার করে গুণগত মান অনুযায়ী নানান ভাগে ভাগ করা হয়।
এরপর ধাপে ধাপে দাগ কেটে তৈরি হয় সুদৃশ্য শাঁখা। এছাড়া নানান ধরনের শঙ্খও তৈরি হয় এখানে। দাসপুরে বানানো শাঁখা ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে পৌঁছে যাচ্ছে দেশ-বিদেশে। এছাড়াও বিমানে করে নেপাল, আমেরিকা, ইংল্যান্ডে ছড়িয়ে পড়ছে দাসপুরের কারিগরদের হাতে তৈরি শাখা এবং শঙ্খ।
আরও পড়ুনঃ পুকুরে নেমে বিপত্তি, হঠাৎ পিছন থেকে ‘তেনার’ আক্রমণ! কোনও রকমে প্রাণ বাঁচিয়ে ফিরলেন বৃদ্ধ
এখন প্রশ্ন হল, এসব শাঁখার দাম কত? একজোড়া শাঁখার সর্বনিম্ন দাম চল্লিশ থেকে নব্বই টাকা। আবার দু-তিন হাজার টাকা পর্যন্ত শাঁখাও রয়েছে। বর্তমানে সোনা বসানোর জন্য নকশা তৈরি করে বিভিন্ন সোনার দোকানেও শাঁখা সরবরাহ করা হচ্ছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এভাবেই আস্তে আস্তে দাসপুর এখন বিশ্বের দরবারে পরিচিত। এক সময় এখানে কয়েকজন কারিগর নিয়ে শুরু হয়েছিল পথচলা, এখন প্রায় ২০০ কারিগর কাজ করেন। প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার শাঁখা কাটার কাজ হয়। ভারতের গণ্ডি পেরিয়ে আজ বিশ্বের বহু দেশে পৌঁছে যাচ্ছে দাসপুরের শাঁখা।