পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহল অধ্যুষিত প্রান্তিক ব্লক কেশিয়াড়ি। কেশিয়াড়ি বাজার থেকে বেশ অনেকটাই দূরে প্রত্যন্ত এক গ্রাম জয়কৃষ্ণপুর। আজ থেকে বেশ কয়েক দশক আগে এলাকায় শিক্ষা বিস্তারের জন্য ছোট্ট মাটির চালা ঘর থেকে শুরু হয় বিদ্যালয়। বর্তমানে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়েছে জয়কৃষ্ণপুর নেহেরু বিদ্যাভবন। গ্রামীণ এলাকায় শিশুদের মধ্যে স্কুলছুট হওয়ার প্রবণতা রুখতে এবং স্কুলের প্রতি আরও মনোযোগী করে তুলতে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে বিদ্যালয়ের চত্বরকে। ঝাঁ চকচকে বিদ্যালয়ে ভবন, সামনে একাধিক মনীষীর মূর্তি থেকে বিশাল বড় অনুষ্ঠানের স্টেজ। শুধু তাই নয় ভারতীয় সংস্কৃতি এবং ভারতীয় নৃত্য ধারাকে ছবির মধ্য দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে ফুটিয়ে তুলেছে বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ।
advertisement
আরও পড়ুন: ইতালির ভেনিস, বাংলার ঘাটাল, বড্ড মিল…! বাড়িতে বাড়িতে রয়েছে এই যান, জানেন কী? জানলে অবাক হবেন
দেওয়ালে রয়েছে একাধিক মনীষীদের ছবি ও তাদের বাণী। এছাড়াও শুধু পুঁথিগত শিক্ষা নয়, ছবির মধ্য দিয়েও ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের মধ্যে পড়াশোনা ছড়িয়ে দিতে এবং তাদের আরও মনোযোগী করে তুলতে প্রতিটি শ্রেণীকক্ষেই রয়েছে নানা ছবি। চার দেওয়াল নয়, সিলিংয়েও আঁকা রয়েছে চন্দ্রযানের ছবি। প্রতিদিনই বিদ্যালয়ে উপস্থিতির সংখ্যা বেশ কয়েকশ। এছাড়াও বিদ্যালয়ের প্রতিটি শ্রেণী কক্ষের নাম রয়েছে বিভিন্ন মনিষী ও প্রথিতযশা ব্যক্তিদের নামে। বিদ্যালয় রয়েছে স্মার্ট ক্লাসরুম, রয়েছে অত্যাধুনিক কম্পিউটার ল্যাব, রয়েছে বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা থেকে জিমনাসিয়াম।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
একদিকে যখন বিভিন্ন বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোতে পড়ুয়াদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, সরকারি বিদ্যালয়ে পড়ার মানসিকতা কমছে শিক্ষার্থী থেকে অভিভাবকদের, সেখানে প্রত্যন্ত গ্রামের জয়কৃষ্ণপুর নেহেরু বিদ্যাভবন এক দৃষ্টান্ত। স্বাভাবিকভাবে, বিদ্যালয়ে আসতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে পড়ুয়ারা। একদিকে যেমন আনন্দের ছলে পড়াশোনা শিখছে, তেমনই বিভিন্ন ছবির মধ্য দিয়ে পড়াশোনা এবং মনীষীদের পরিচয় পাচ্ছে তারা।
রঞ্জন চন্দ