তাই শীতের শুরুতেই গ্রামাঞ্চলে যেন একটা অজানা আতঙ্ক ঘুরপাক খাচ্ছে। আজ রাতে আবার হাতির দল ঢুকবে না তো? সামনে আলু তোলার মরশুম। কৃষকেরা রোজই মাঠে নজরদারি রাখছেন। কারণ একদিকে সার সেচের খরচ, অন্যদিকে ধারে নেওয়া টাকার চাপ – সব মিলিয়ে এই ফসলটাই অনেকের বছরের সম্বল।
আরও পড়ুনঃ রাতের অন্ধকারে ইন্দো বাংলাদেশ সীমান্তে আগ্নেয়াস্ত্র হাতবদলের ছক! হাতেনাতে পাকড়াও দুষ্কৃতী
advertisement
কিন্তু হাতির দল যদি একবার লোকালয়ে নামে, তখন সেই ফসল রক্ষা করা কঠিন। কৃষকদের কথায়, “হাতি এলে শুধু আলুর জমি নয়, বাঁধ ভেঙে মাঠ চুরমার করে দেবে সারা বছরের পরিশ্রম। মুহূর্তে শেষ হয়ে যাবে।” রাতভর কৃষকদের টহল, মাইক বাজানো, মশাল জ্বালানো সবকিছু করেও অনেক সময় থামানো যায় না হাতির হানা।
আরও পড়ুনঃ প্রেমের বিয়ের রক্তাক্ত পরিণতি! অশান্তির জেরে স্ত্রীকে কোপাল স্বামী, দত্তপুকুরে ভয়ঙ্কর কাণ্ড
ফলে প্রতিদিনই বাড়ছে দুশ্চিন্তার ভাজ। কারণ একটাই হাতি এলে ফসলের ক্ষতি নিশ্চিত। স্থানীয় বন দফতর পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে বলে জানা গিয়েছে। তবে ধামকুড়িয়া জঙ্গল বিত্ত এলাকায় হাতির চলাচল বহু বছরের সমস্যা। তাই সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও জোরদারের দাবি কৃষকদের। রাতের বেলা জঙ্গল সীমানায় টহল বাড়ানো, হাতি তাড়ানোর জন্য বিশেষ স্কোয়াড তৈরি করা, ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়া এগুলি এখন গ্রামের মানুষের প্রধান দাবি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কৃষকদের কথায়, “যদি হাতি আসে তাহলে জীবন জীবিকা দুটোই ঝুঁকির মধ্যে। একদিকে ফসলের ক্ষতি, অন্যদিকে রাতভর আতঙ্ক। সরকারি উদ্যোগ না বাড়ালে এই সমস্যার মোকাবিলা অসম্ভব।” হাতির আনাগোনায় কৃষকদের ফসল রক্ষার লড়াই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।





