ছাত্র-ছাত্রীদের সার্বিক মানোন্নয়ন এবং স্কুলের পরীক্ষাঠামো উন্নয়ন করাই তার লক্ষ্য। ২০০৩ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রায় ২২ বছরের শিক্ষকতা জীবনে কৃতিত্বের পুরস্কার স্বরূপ মিলেছে পুরস্কার। সম্প্রতি দ্রোণাচার্য সম্মানে সম্মানিত পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার এক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা।
advertisement
শুধু পড়ান এমনটা নয়, বরাবর পড়াশোনাতেও আগ্রহ তাঁর। গবেষণা তাঁর স্বপ্ন, লেখালেখি তাঁর ভালোবাসা। স্কুল জীবনের পাশাপাশি একাধিক বই লিখেছেন তিনি। তবে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তার ভাবনা পড়ুয়াদের নিয়ে। বর্তমানে বেশ কয়েক বছর ধরে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা প্রভাতী বালিকা বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন লক্ষ্মীদাস অট্ট।
বালিকা বিদ্যালয়ে এসে ছাত্রীদের পড়াশোনার উন্নতিকরণ, বিদ্যালয়কে সাজিয়ে গুছিয়ে তোলা, যা গোটা জেলার কাছে এক অনন্য নিদর্শন সৃষ্টি করেছে। ছাত্রীদের পড়াশোনায় আরও বেশি আগ্রহ বাড়াতে প্রতিদিন নিরন্তর সাধনা করে চলেছেন এই প্রধান শিক্ষিকা।
পড়ুয়া কেন্দ্রিক প্রধান শিক্ষিকার এই ভাবনা এনে দিয়েছে সম্মান। সম্প্রতি দ্রোনাচার্য সম্মানে ভূষিত হলেন বেলদা প্রভাতী বালিকা বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষিকা ড: লক্ষ্মী দাস অট্ট। বুধবার এই পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। যার পর থেকে বিদ্যালয় ও এলাকার মানুষের মধ্যে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, বেসরকারী এক প্রতিষ্ঠানে তরফে এই সম্মান প্রদান করা হয়েছে। রাজ্যে স্কুল শিক্ষা ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান ও নেতৃত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ এই পুরস্কার দেওয়া হয়। রাজ্যের সেরা প্রধান শিক্ষক, শিক্ষিকা ছাড়াও সংস্থাটি রাজ্যের সেরা বিজ্ঞান, কলা বানিজ্য বিভাগের শিক্ষকদের পুরস্কার দিয়েছে।
রাজ্যের সেরা প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকার তালিকায় ছিলেন বেলদা প্রভাতী বালিকা বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষিকা তথা গবেষক ডক্টর লক্ষ্মী দাস অট্ট। বেলদা প্রভাতী বালিকা বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে তার কাজ, নিষ্ঠা, প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও পড়ুয়াদের সঙ্গ সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে দৃষ্টান্তমূলক কাজের জন্যেই এই পুরস্কার প্রদান। তার এই সম্মানের সম্মানিত হওয়া শুধুমাত্র একটি গৌরবজ্জ্বল মুহূর্ত তৈরি করেছে তা নয়, সমাজের শিক্ষার প্রতি তার দায়িত্ব এবং তার নিষ্ঠাকে প্রমাণ করেছে।





