প্রতিবছরই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে হাতির দল, আর তাতেই সর্বনাশ হয় চাষের। রাত-দিন মাথায় একটাই চিন্তা কবে কোন দিকে থেকে হাতি এসে মাঠ নষ্ট করে দেবে। ফলে জমি আছে, ফসল আছে কিন্তু মনজুড়ে অজানা ভয়। চাষিরা শুধু জমিতে কাজই করেন না, তাদের চোখও রাখতে হয় চারদিকের জঙ্গলে। কারণ অনেক সময় দেখা যায়, বন দফতরের কর্মীরা হাতির গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে চেষ্টা চালালেও, হাতি আচমকা ঘুরে এসে ঢুকে পড়ে চাষের জমিতে। ফসলের গন্ধ পেলে হাতিদের থামান দুষ্কর। বনকর্মীরা মশাল জ্বালান থেকে আওয়াজ করে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করেন। তবুও মাঝে মাঝে হাতির দল প্রবল শক্তিতে নষ্ট করে দেয় আলুর চারা। চাপা পড়ে যায় কৃষকের মাসের পর মাসের পরিশ্রম।
advertisement
চন্দ্রকোনা, গড়বেতা, জয়পুর এই পুরো জঙ্গলমহল এলাকায় এখন হাতির গতিবিধি বেড়েছে বলে জানাচ্ছেন বন দফতরের আধিকারিকরা। চাষিদের কথায় স্পষ্ট হয়ে উঠছে তাঁদের দৈনন্দিন সংগ্রাম। এক চাষি দয়াল লোহার বলেন, “এই জমিতে চাষ করেই আমাদের পেট চলে। কিন্তু গড়বেতা থেকে জয়পুর, সব জায়গায় হাতির আনাগোনা চলছে। রাতারাতি ফসল নষ্ট হয়ে যায়, আমাদের প্রচুর ক্ষতি হয়। তাই বন দফতর যদি এই হাতিগুলোকে নিয়মিত নজরে রাখে, তাহলে আমরা অন্তত ফসল ঘরে তুলতে পারব।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
চাষির এই আর্তি শুধু একজনের নয়, পুরো এলাকার কৃষকদের অভিন্ন দাবি। প্রকৃতি ও মানুষের সহাবস্থান যতই জরুরি হোক, কিন্তু ফসল নষ্ট হলে সবচেয়ে বড় ধাক্কা সইতে হয় কৃষককেই। সেই কারণেই বন দফতরের প্রতি তাঁদের অনুরোধ হাতি নিয়ন্ত্রণে যেন আরও সক্রিয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।





