যার ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে দেশীয় কাঁকড়া। কিন্তু শহর সংলগ্ন দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের ইচ্ছাপুর এলাকায় বেশ কিছু পুকুরে আজও মেলে দেশি কাঁকড়া। কিন্তু মাছ ধরার নানাবিধ পদ্ধতি সকলের জানা থাকলেও এই দশপেয়ে কাঁকড়া কীভাবে ধরা হয় তা বহু মানুষেরই অজানা। এবার সচক্ষে দেখে নিন কাঁকড়া ধরার এই পদ্ধতি। জেলেরা প্রথমে পুকুরের জলে নেমে আশপাশের আগাছা একত্রিত করে একটি কৃত্রিম বাসা তৈরি করেন জলের মধ্যেই। তবে একটি দুটি নয়, এই ধরনের একাধিক বাসা তৈরি করা হয়।
advertisement
কাঁকড়ার দল পাঁকে অথবা জলাশয়ের গাছগাছালিতে লুকিয়ে থাকতে পছন্দ করে।তাই ঝোঁপের মতো ঘন ওই বাসা দেখে আকৃষ্ট হয়ে একে একে বেশ কিছু কাঁকড়া সেখানে ডেরা বাঁধতে শুরু করে। পরের দিন জেলে এসে এই বিশেষ জালের সাহায্যে কাঁকড়াগুলি তুলে ফেলেন। স্বাদে অতুলনীয় হয় এই দেশি কাঁকড়া বলে দাবি গ্রামবাসীর। বাজারে চাহিদাও ব্যাপক। এই দেশি কাঁকড়ার চাহিদা মেটাতে বর্তমানে বাধ্য হয়ে হাইব্রিড কাঁকড়া চাষ করছেন চাষিরা। বাজারে আসছে হাইব্রিড কাঁকড়া। কিন্তু দেশি সুস্বাদু কাঁকড়ার স্বাদ মেলেনা ওই হাইব্রিড কাঁকড়াতে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রসঙ্গত, কাঁকড়ার প্রায় সাত হাজারেরও বেশি প্রজাতি রয়েছে, যা বিভিন্ন ধরনের হয়। এদের মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য প্রকার হল, নীল কাঁকড়া, রাজা কাঁকড়া, তুষার কাঁকড়া, পাথর কাঁকড়া ইত্যাদি। এই কাঁকড়া গুলিই কেবল খাওয়া নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর বলে দাবি গ্রামবাসীর।





