তিনি প্রয়াত সিপিএম নেতা বিনয় কোঙারের স্ত্রী। বাংলার কৃষক আন্দোলনের অন্যতম হোতা বাম নেতা হরেকৃষ্ণ কোঙারের ভাতৃবধূ। মেমারির তিনবারের বাম বিধায়কও ছিলেন মহারাণী। ৮৮ বছর বয়সেও মন এখনও সতেজ। এই বয়সেও পুর নির্বাচনের প্রচারে সিপিএম প্রার্থীদের নিয়ে মেমারির বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি বাড়ি ভোট চাইছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: করোনার গ্রাসে স্বপ্ন ভেঙে চুরমার! রাজ্যের সব স্কুল খুললেও বন্ধ হল 'কচুরিওয়ালার ইংরেজি স্কুল'
এই বয়সেও যে ব্রিগেডের সভা তাঁকে টানে তা নতুন কথা নয়। এক বছর আগেই গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি তিনি বামেদের ব্রিগেডের সভা গিয়েছিলেন। বিধানসভার ফলাফলের হতাশা তাঁকে গ্রাস করতে পারেনি। দ্বিগুণ উৎসাহে পুরভোটের প্রচারে ঝাঁপিয়েছেন। বলছেন সেই দিনগুলির কথা। বলছেন, হরেকৃষ্ণ কোঙার, বিনয় কোঙার গরীবের জন্য পাড়ায় পাড়ায় ঘুরেছেন। জেল খেটেছেন। কোনওদিন হতাশ হইনি। আমি হতাশ হবও না। মানুষই আমাদের সঙ্গে লড়াইয়ে আছে। মানুষের সঙ্গে থাকব। মানুষকে কাস্তে, হাতুরি, তারা চিহ্নে ভোট দিতে বলছি।
আরও পড়ুন: পরনে জোড়া ফুলের শাড়ি, হাতে লক্ষ্মীর ভান্ডার! বাড়ি বাড়ি ভোটে প্রচারে 'লক্ষ্মী'
মহারাণী বলেন, কে ভাল কে মন্দ বিবেচনা করে ভোট দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি। প্রচারে সাড়াও পাচ্ছেন। অনেকেই তাঁর কুশল জানতে চাইছেন। তাঁর মতে, সমাজে দুটো শ্রেণি। একটা গরীব-মধ্যবিত্ত ও আর একটা বিরাট ধনী। টাকা দিয়ে ধনীরা ভোট কেনার চেষ্টা করছে। তাই সমাজের পরিবর্তন আনতে আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। বামেরাই সমাজের পরিবর্তন আনবে।
এই বয়সেও মহারাণীর উৎসাহ দেখে অবাক দলের নেতা কর্মীরা। কিন্তু সেদিকে ভ্রুক্ষেপই নেই তাঁর। প্রার্থীদের সঙ্গে সঙ্গে যাচ্ছেন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি। বোঝাচ্ছেন, কেন ভোটটা বামেদেরই দেওয়া প্রয়োজন। কর্মী নেতারা বলছেন, ওনাকে দেখে বাড়তি উদ্যম পাচ্ছি আমরাও।
Saradindu Ghosh