তিনি বিনামূল্যে তাঁদের প্রশিক্ষণ-সহ খেলাধুলার নানান খরচ বহন করেন। পাশাপাশি কয়েক বছর আগে এলাকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের কিশোরী ও যুবতীদের নিয়ে একটি ফুটবল টিম তিনি তৈরি করেন। ওই মেয়েরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে জেলা থেকে রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে।কেবল তাই নয় বর্তমানে তাঁর দলের মেয়েরা আন্তর্জাতিক স্তরের ফুটবল প্রতিযোগিতাতেও অংশ গ্রহণ করেছে৷
advertisement
তীর্থবাবুর দাবি, ক্রিকেটের পাশাপাশি মহিলা ফুটবলারদের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে দ্রুত গতিতে। ফুটবল খেলায় ঝোঁক বাড়ছে মহিলাদের। তীর্থবাবুর কাছে কোচিং নিতে বর্তমানে দুর্গাপুর মহকুমা সহ বাঁকুড়া জেলার বহু আদিবাসী যুবতীরা আসছেন উখড়া এলাকায়। ভিন জেলার যুবতীদের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে ফুটবলার ক্যাম্প।ওই ক্যাম্প নির্মাণ করে দিয়েছেন এলাকার শুভাকাঙ্ক্ষী এক ব্যক্তি।ওই ব্যক্তির সহযোগীতায় উখড়া এলাকায় পুজারি ময়দানে” উখড়া পুজারী ফুটবল কোচিং ক্যাম্প” গড়ে তুলেছেন তীর্থবাবু। সেখানে প্রায় ৫০ জন মহিলা সহ প্রায় ২০০ জন ফুটবলার প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। তীর্থবাবুর দাবি, দুঃস্থ ও পিছিয়ে পড়া ওই কিশোর – যুবতীদের আগ্রহ ও প্রচেষ্টায় ভালো ফুটবল টিম তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে। তাঁদের খেলাধুলার জন্য যাবতীয় সরঞ্জাম ও প্রতিদিনের খরচ তীর্থবাবু নিজের পকেট থেকে ব্যয় করে চলেছেন।
পাশাপাশি এলাকার বেশ কিছু শুভাকাঙ্ক্ষী মানুষ নানান দিক থেকে সহযোগিতা করেছেন। কলকাতা কন্যাশ্রী কাপ, দুর্গাপুর লীগ সহ আন্তর্জাতিক স্তরে স্কুল থেকে টুর্নামেন্টে অংশ গ্রহণ করেছে বেশ কয়েকজন কিশোরী থেকে যুবতী। ইতিমধ্যেই চার বছরে আন্ডার ১৪, আন্ডার ১৭ ও আন্ডার ১৯ এর মহিলা টিম গড়ে উঠেছে। কিন্তু পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে। পাশাপাশি প্রায় সকলেই দুঃস্থ পরিবারের হওয়ায় পুষ্টিকর খাবারদাবারের অভাব রয়েছে ওই খেলোয়াড়দের। সরকারি ভাবে মেলেনি এখনও কোনও সহযোগিতা। এরই মধ্যে তীর্থবাবু আগামী মঙ্গলবার ও বুধবার উখড়া পুজারী ফুটবল কোচিং ক্যাম্পের রেসিডেন্সিয়াল একাডেমির জন্য মেয়েদের ফুটবল ট্রায়াল এর আয়োজন করেছেন।রাজ্য জুড়ে মহিলা ফুটবলাররা অংশ নিতে পারবেন এখানে। ওই ট্রায়ালে যেসব মেয়েরা নির্বাচিত হবে সকলের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি থাকা খাওয়ার সুবিধাও থাকবে।
এইভাবেই তীর্থবাবু গ্রামাঞ্চলের পিছিয়ে পড়া মেয়েদেরও ফুটবলমুখী করে তুলছেন। তীর্থবাবু ওই মেয়েদের নিজের কন্যা স্নেহে অক্লান্ত পরিশ্রম করে,নিজ খরচায় প্রশিক্ষণ দিয়ে যোগ্য ফুটবলার গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছেন।





