TRENDING:

East Burdwan News: ৫ মাস ধরে কাটোয়া হাসপাতালে প্যাকেটবন্দি হয়ে পড়ে ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন! আধুনিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত রোগীরা

Last Updated:

Purba Burdwan News: কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয়ে কেনা ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন গত পাঁচ মাস ধরে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের নতুন ভবনের স্টোর রুমে প্যাকেটবন্দি অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কাটোয়া, পূর্ব বর্ধমান, বনোয়ারীলাল চৌধুরী: কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয়ে কেনা ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন গত পাঁচ মাস ধরে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের নতুন ভবনের স্টোর রুমে প্যাকেটবন্দি অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির এই মেশিনটি চালু না হওয়ায় প্রতিদিনই হাসপাতালে পুরনো ম্যানুয়াল এক্স-রে মেশিনের উপরেই ভরসা করতে হচ্ছে কর্মীদের। ফলে পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে এবং বেড়ে চলেছে রোগীদের ক্ষোভ।
প্যাকেটবন্দি ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন
প্যাকেটবন্দি ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন
advertisement

হাসপাতালের সুপার বিপ্লব মণ্ডল জানান, ‘ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন চালু করার জন্য আমাদের ঘর প্রস্তুত রয়েছে। তবে রেডিয়েশন সুরক্ষার জন্য সেখানে একটি লেড (Lead) দরজা বসানো বাধ্যতামূলক। পূর্ত দফতরকে বারবার চিঠি দিয়ে জানালেও এখনও সেই কাজ হয়নি। তাই মেশিন চালু করা যাচ্ছে না।’

আরও পড়ুনঃ  বন্ধ গৌরাঙ্গ সেতু! এবার ১০০০ টাকায় বৈতরণী পার করার ব্যবস্থা করল নবদ্বীপ পৌরসভা

advertisement

ধীরে ধীরে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নত হলেও রোগীর চাপ তার থেকেও দ্রুত বাড়ছে। পূর্ব বর্ধমানের পাশাপাশি নদিয়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ জেলার বহু মানুষ এই হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসেন। প্রতিদিন এক্স-রে বিভাগেও ভিড় থাকে। অন্যদিকে, ম্যানুয়াল মেশিন মাঝে মাঝেই খারাপ হওয়ায় রোগীদের বাইরে গিয়ে মোটা টাকা দিয়ে এক্স-রে করাতে হয়। এ অবস্থায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আগেই ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনও পাঠায়। হাসপাতালের নতুন ভবনে সেই অনুযায়ী ঘরও তৈরি করা হয়। তবুও প্রয়োজনীয় লেড দরজা না লাগায় মেশিনটি এখনও ব্যবহার করা যাচ্ছে না।

advertisement

আরও পড়ুনঃ বালি নিবেদিতা সেতুর নিচে ভয়াবহ আগুন! দাউদাউ করে জ্বলল পরপর দোকান, আতঙ্ক এলাকায়

হাসপাতালের নতুন চারতলা ভবনে অতিরিক্ত ১০০টি শয্যা রাখা হয়েছে। পাইপলাইনের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে। চতুর্থ তলায় ১৮ বেডের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট তৈরির পরিকাঠামোও সম্পূর্ণ হয়েছে। তবে অভিযোগ, নতুন ভবনের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ এখনও চালু হয়নি। বর্তমানে হাসপাতালে প্রসূতি, পুরুষ, মহিলা, শিশু মিলিয়ে মোট ২৮৬টি শয্যার অনুমোদন থাকলেও জায়গা অভাবে চালু রয়েছে মাত্র ২৫৬টি বেড। নতুন ভবন চালু হলে অতিরিক্ত জায়গার জোগান তৈরি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

২০১৯ সালে দেশজুড়ে কোভিড পরিস্থিতির সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন জেলায় অতিরিক্ত ১০০ বেডের হাসপাতাল ভবন তৈরির ঘোষণা করেন। তারই অংশ হিসেবে কাটোয়াতেও নতুন ভবন নির্মিত হয়। করোনা পরিস্থিতি ফের তৈরি হলে সেই ভবনে আধুনিক চিকিৎসা পরিষেবা উপলব্ধ করার পরিকল্পনাও ছিল। কিন্তু অভিযোগ, ভবন তৈরি হলেও পরিষেবা চালুর ক্ষেত্রে উদাসীনতা রয়েছে প্রশাসনের। তার জেরেই ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনটিও মাসের পর মাস স্টোর রুমে পড়ে রয়েছে নিষ্ক্রিয়ভাবে। রোগীদের একাংশের প্রশ্ন, “হাসপাতালে যখন আধুনিক যন্ত্রপাতি এসে গিয়েছে, যেখানে সরকার এত সুবিধা দিচ্ছে, তাহলে আমরা সেই পরিষেবা পাচ্ছি না কেন?”

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
বড়দিনের ছুটিতে ট্রিপে শান্তিনিকেতন, সস্তায় দারুণ সব হোটেল, বুকিং সেরে নিন এখুনি
আরও দেখুন

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, পূর্ত দফতর দ্রুত প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করলে ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন চালু করা যাবে এবং রোগীরাও আধুনিক পরিষেবা পাবেন।

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
East Burdwan News: ৫ মাস ধরে কাটোয়া হাসপাতালে প্যাকেটবন্দি হয়ে পড়ে ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন! আধুনিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত রোগীরা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল