মাঝিরা নিজেদের উদ্যোগেই শুরু করেছেন কচুরি পানা সরানোর কাজ । আসলে পেট বড় বালাই। তাই পাখিরা থাকবে কোথায় তা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে মাঝিদের। বাঁশ এবং দড়ি দিয়ে কচুরিপানা সরিয়ে সেটাকে আটকে রেখে নৌকা চলাচলের সুবিধার জন্য রাস্তা করছেন মাঝিরা নিজেই । এই বিষয়ে এক মাঝি বলেন, এবছর আমাদের ছাড়িগঙ্গার অবস্থা খুব একটা ভালো নয় । কেননা এখানে প্রচুর কচুরিপানা হয়ে গিয়েছে । যার জন্য পাখিদের বসতে অসুবিধা হবে, এমনকি আমাদের নৌকা নিয়ে যাতায়াত করতেও অসুবিধা হবে। আমরা নৌকো চালিয়ে পর্যটকদের পাখি দেখিয়ে রোজগার করি।
advertisement
আরও পড়ুন: বাতিল নারকেল মালা দিয়ে তৈরি হয় একতারা! এই ব্যবসা করে মালামাল হয়ে যান
পূর্বস্থলীর চুপি, কাষ্ঠশালী, রাজার চর প্রভৃতি এলাকা গুলিতে বিদেশি পাখিদের দেখতে প্রতি বছর শীতের মরশুমে দেশ বিদেশের পর্যটকরা ভিড় জমান ৷ প্রফেশনাল নামী চিত্রগ্রাহকরাও আসেন বিদেশি পাখির ছবি তুলতে। এখন ছাড়িগঙ্গার পাড় এলাকা জুড়ে প্রচুর রিসর্ট গড়ে উঠেছে পর্যটকদের জন্য। রাজ্য সরকার চুপির পাখিরালয়কে ঘিরে বড় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলেছে। আর এই কারণে ওই এলাকার বাসিন্দাদের অর্থনৈতিক অবস্থাও পাল্টাচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে সংস্কারের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে ছাড়িগঙ্গা কচুরি পানায় ভরে উঠেছে।
আরও পড়ুন: শীতের কম্বল ছেড়ে এখন আসন, ২৫০ বছরের পুরানো শিল্প এভাবেই বদলেছে এখানে
পূর্বস্থলী ২ ব্লকের চুপি এলাকায় ছাড়ি গঙ্গায় তিন দশকের বেশি সময় ধরে উত্তর এশিয়া, ইউরোপ, ক্যাস্পিয়ান সাগর, সাইবেরিয়া, তিব্বত প্রভৃতি দেশ থেকে আসে পরিযায়ী পাখি। আর এইসব বিদেশি পাখিদের দেখতে চুপিতে পর্যটকদের ভিড় হয় প্রতিবছর। বিদেশি পাখিরা সাধারনত জলের শ্যাওলা খায়৷ কিন্তু এভাবে কচুরি পানায় জল ঢেকে থাকলে পাখিরা কি খাবে ! এই পরিস্থিতিতে এখন আশঙ্কায় রয়েছেন চুপির সকল মাঝিরা।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী