তবে তদন্তকারীরা ঘটনার পুনর্নির্মাণ করলেও, তদন্তের স্বার্থেই এদিন মধ্যমগ্রাম বীরেশ পল্লী সহ দোলতলা ও যেই রাস্তা ব্যবহার করে তারা দেহ গায়েব করেছিলেন সেই গোটা এলাকা জুড়েই প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে চলল শ্যুটিং। কীভাবে, কখন, কোথায় ঘটনার দিন অভিযুক্তরা যা যা করেছিলেন তাই ভিডিও রেকর্ড করা হল পুলিশের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন: প্রস্রাবের পরপরই ঢকঢক করে জল খাচ্ছেন? কিডনির দফারফা হচ্ছে নাকি? ভুল করার আগে এখনই জানুন
advertisement
শুধু খুন নয়, খুন এরপর যেভাবে বাড়ি থেকে অস্ত্রগুলিকে নিয়ে গিয়ে স্থানীয় পুকুরে ফেলেছিলেন আরতি দেবী তা এদিন দেখিয়ে দিলেন তিনি। তবে আসল বটির জায়গায়, এদিন ছিল থার্মোকলের বটি। এখানেই শেষ নয়, তারপর বীরেশ পল্লীর মোড় থেকে প্রথমে ভ্যান সহ চালক বছর ৬০ এর রাধানাথ হালদার কেও এদিন নিয়ে আসা হয়েছিল শুটিংয়ের জন্য। ওই ভ্যানচালকের ভ্যানে কীভাবে ট্রলি তোলা হয়েছিল তা দেখিয়ে দেওয়ার জন্য, এদিন নীল রঙেরই ট্রলি কিনে আনা হয় ওই একই রকম আকারের।
সেখান থেকে যেভাবে ট্রলি ভ্যানে তুলে মা-মেয়ে দোলতলা মোড়ে এসেছিলেন এদিনও যেন সেই একই ভাবে শুটিং এর জন্য ঘটালেন সে দিনের ঘটনা। সেখান থেকে ট্যাক্সিতে করে কুমোরটুলি ঘাটের উদ্দেশ্যে কীভাবে ট্রলি ব্যাগে মৃতদেহ নিয়ে পৌঁছালো মা ও মেয়ে তাও পুনর্নির্মাণ করে, ভিডিও রেকর্ড করলেন মধ্যমগ্রাম থানার তদন্তকারী আধিকারিকরা।
গোটা ঘটনা ক্যামেরাবন্দি হল সংবাদমাধ্যমেও। তবে সেদিন অভিযুক্ত মা মেয়ে ভ্যান চালককে ১৩০ টাকার ভাড়া মেটালেও, এদিন পুলিশের তরফ থেকে ভাড়া দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা মেলেনি বলেই আক্ষেপ ভ্যানচালক রাধানাথের।
অপরদিকে, এই ঘটনার পুনরাবৃত্তির অংশ হয়ে ট্যাক্সিচালক শ্যামসুন্দর দাস জানালেন, ‘‘জীবনে এমন অভিজ্ঞতা হবে তা যেন দু:স্বপ্নেও ভাবিনি। ৭০০ টাকা চেয়েছিলাম, মহিলারা বলেছিল ৫০০ টাকা দেয়া হবে।
পরবর্তীতে ৬০০ টাকা ভাড়ায় তিনি কলকাতা কুমারটুলি ঘাটে যান ট্রলিতে দেহ গায়ে কাণ্ডে অভিযুক্ত মা মেয়েকে। তবে দুই অভিযুক্ত মা মেয়ে ঘটনার দিন কুমোরটুলিতে যে পোশাকে হাতেনাতে ধরা পড়েন, সেই পোশাকেই এদিনও করলেন তদন্তকারীদের পুনঃনির্মাণের শুটিং। প্রতিবেশী থেকে মধ্যমগ্রাম বাসীরাও যেন সাক্ষী থাকল ট্রলিতে দেহ গায়েব কাণ্ডে এই অভিনব শুটিংয়ের।
Rudra Narayan Roy