হুগলির পুরশুড়ার হরিণখোলা গ্রামে জয়দেব গত ১২ তারিখ উত্তরকাশীতে সুড়ঙ্গে কাজ করতে গিয়ে আটকে পরেছিলেন। তখন থেকেই উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় দিন কেটেছে সবার। অবশেষে মঙ্গলবার ৭.৫৮ মিনিটে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। প্রথম একজন শ্রমিক মাইক্রো টানেল থেকে বেরিয়ে আসতেই চোখ মুখ পাল্টে যায় পরিবার পরিজনদের। এক প্রকার নাওয়া-খাওয়া ভুলে গিয়েছিল পরিবারের লোকজনের। অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন জয়দেবের মা। কীভাবে দীর্ঘ ১৭ দিন অন্ধকারাচ্ছন্ন জায়গায় দিন কাঠিয়েছেন তা ভাবতেই এখনও উৎকণ্ঠা বাড়ে পরিবারের।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘বিড়ি’ খেয়েই কমবে খুশখুশে কাশি! অবাক লাগছে? ম্যাজিক ঘরোয়া টিপস
যদিও শেষমেশ উদ্ধার হন তাঁরা সকলেই। হাসি ফোটে পরিবারের মুখে। মঙ্গলবার সকালে বাজারে গিয়ে মুরগির মাংস কিনে আনে জয়দেবের বাবা তপন পরামানিক। বুধবার তিনি নিজের হাতেই মাংস রান্না করছেন। জয়দেবের বাবা তপন বাবু জানান, ‘দীর্ঘ ১৭ দিন বাড়িতে হাড়ি চড়েনি, খাওয়া-দাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। স্ত্রীর মানসিক অবস্থা ভাল ছিল না। যদিও প্রতিবেশীরা খাবার কথা বলেছিলেন কিন্তু যেখানে ছেলে আটকে রয়েছে আমরা বাবা মা হয়ে খাব কী করে। ছেলে গতকাল অন্ধকূপ থেকে বেরিয়েছে। এখন আমরা অনেকটাই স্বস্তি পেয়েছি। তাই আজ সকালে বাজারে গিয়ে মাংস এনেছি, ছেলেটা মাংস খেতে ভালোবাসে।’
আরও পড়ুন: বিয়ের পরই বদল, ফেসবুকের ডিপি পাল্টে কার ছবি রাখলেন পরমব্রতর স্ত্রী পিয়া? দেখুন
যদিও ছেলে এখনও বাড়ি ফেরেনি হাসপাতালেই রয়েছেন, সকালেই ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছে বাড়ির সদস্যদের। যেদিন বাড়ি ফিরবে সেদিন বাবা ছেলেকে নিজের হাতে মাংস রান্না করে খাওয়াবেন। জয়দেবের মা তপতী পরমানিক জানান, সকালেই ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছে, তবে সেই রোমহর্ষক অভিজ্ঞতার কথা এখনও কিছু জানাননি। কয়েকটা দিন খুব উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠার মধ্যে কেটেছে পরামানিক পরিবারের।
রাহী হালদার
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F