শিল্পীরা জানিয়েছেন, এখন ঘাম তেলের বদলে এক ধরনের বিশেষ রং ব্যবহার করা হচ্ছে। যে রঙে মাটির মূর্তি উজ্জ্বল দেখানোর জন্য বিশেষ ধরনের পদার্থ থাকছে। যার ফলে আলাদা করে আর ঘাম তেল ব্যবহার করতে হচ্ছে না। এই রং ব্যবহারের ফলে তাদের প্রতিমা তৈরিতে সময় খানিকটা সাশ্রয় হচ্ছে। পাশাপাশি খরচ কমছে। আবার বেশ কয়েক ধরনের রং মিশিয়ে শিল্পীরা পছন্দমত তৈরি করে নিতে পারছেন।
advertisement
যদিও সব প্রতিমার ক্ষেত্রে এই বিশেষ রং ব্যবহার করা যাবে না বলেই তারা জানিয়েছেন। বিশেষ করে প্রাচীন যে সমস্ত মূর্তিগুলি রয়েছে এবং ডাক সাজের যে সমস্ত মূর্তিগুলি রয়েছে, সেগুলির ক্ষেত্রে ঘাম তেলের ব্যবহার অনিবার্য। যেমন ডাক সাজের দুর্গামূর্তি এবং কালি মূর্তি তৈরি করতে অবশ্যই ঘাম তেল ব্যবহার করতে হবে। নয়তো প্রতিমা অসম্পূর্ণ মনে হবে বলেই তারা জানিয়েছেন। অন্যদিকে, বিশ্বকর্মা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ মূর্তিতে এই রং তারা ব্যবহার করতে পারছেন।
আরও পড়ুনঃ Jalpaiguri News: আরজি কর কাণ্ডের আবহে কেমন চলছে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতাল? রইল হাল হকিকত
কিন্তু আরজি কর কাণ্ডের প্রভাব কি পড়েছে বিশ্বকর্মা পুজোর ক্ষেত্রে? শিল্পীরা বলছেন, এই ঘটনা সত্যি নিন্দনীয়। কিন্তু বিশ্বকর্মা পুজোয় এখনও সেই অর্থে তারা আরজি কর কান্ডের প্রভাব বুঝতে পারছেন না। অন্যান্য বছর যেমন অর্ডার থাকে, এবারও তেমনই অর্ডার আছে। তাছাড়া পুজোর আগের দিন পর্যন্ত অনেক মূর্তি বিক্রি হয়। ফলে বিশ্বকর্মা পুজোয় তেমন প্রভাব বুঝতে পারছেন না। কিন্তু দুর্গাপুজো, কালীপুজো, লক্ষ্মীপুজোয় আরজি কর কান্ডের প্রভাব কতটা পড়বে, সেই নিয়ে চিন্তা রয়ে গিয়েছে শিল্পী মহলে।
নয়ন ঘোষ





