১৮ এপ্রিল কোলাঘাট থেকে শ্রীনগরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন কোলাঘাটের বাসিন্দা, দেবলীনা রাজপন্ডিত ও তার স্বামী অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম দিন সোনমার্গ, শ্রীনগর, গুলমার্গ দেখে পহেলগাঁওয়ের বৈশরন ভ্যালিতে যাওয়ার কথা ছিল। গুলমার্গ থেকে পহেলগাঁওয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। পহেলগাঁওয়ে দু’দিন থাকার কথা ছিল ওই দম্পতির। যথারীতি ২২ এপ্রিল একটু বেলার দিকেই গুলমার্গ দেখে পহেলগামের দিকে রওনা হন। ফলে জঙ্গি হামলার ১ ঘণ্টা পর, প্রায় চারটে নাগাদ পহেলগাঁও পৌঁছান ওই দম্পতি।
advertisement
কিন্তু যত পহেলগাঁওয়ের দিকে এগোচ্ছিলেন তত অ্যাম্বুলেন্স এবং মিলিটারির গাড়ির সংখ্যা বাড়ছিল। তখনও বুঝতে পারেননি হোটেলে বন্দি হয়ে পড়তে হবে। ওই দম্পতি ওখানে পৌঁছনোর পরে হোটেল বন্দি হয়ে পড়েন। এ বিষয়ে দেবলীনা রাজ পন্ডিত বলেন, “মাত্র ১ ঘন্টার সময়ের ব্যবধানে প্রাণ নিয়ে বাড়ি ফিরতে পেরেছেন। পর্যটক দলের সঙ্গে গুলমার্গ থেকে কিছুটা আগে পহেলগামের দিকে রওনা দিলেই তাহলে হয়ত এই জঙ্গি হামলার ঘটনার মুখোমুখি হতে হত। আর তা ভাবলেই আতঙ্ক গ্রাস করছে। হোটেলে আটকে পড়ায় এক চাপা উত্তেজনা কাজ করছিল। কতক্ষণে বাড়ি ফিরব সেই চিন্তায় শুধু মাথায় কাজ করছিল। ঈশ্বরকে অশেষ ধন্যবাদ সুষ্ঠুভাবে বাড়ি ফিরেছি।”
ওই পর্যটক দল প্রায় ২৮ জনের। এই গ্রুপের সবাই নিরাপদেই কোলাঘাটে ফিরেছেন। মনের মধ্যে এখনও আতঙ্ক গ্রাস করে আছে। তবে তাঁরা জানিয়েছেন হোটেলের মালিক-সহ এলাকার বাসিন্দারা যথেষ্ট সাহায্য করেন পর্যটকদের। প্রসঙ্গত, কোলাঘাটের প্রায় ৯৮ জনের বেশিরভাগ পর্যটক কাশ্মীর থেকে ফিরে এসেছেন। বাকি যে কয়েকজন রয়েছে তাদের ফিরিয়ে আনতে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা উদ্যোগী হয়েছে।





