ডিসেম্বর থেকে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে প্রতিদিন পাঁচ হাজারের মত পর্যটক সহ ১৫০ মত লঞ্চ ও ভুটভুটি জঙ্গলে ভ্রমণের জন্য যেতে পারবেন। অনলাইনে বুকিং করেই তাঁরা সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভের জঙ্গল ও বন্য প্রাণ দেখার সুযোগ পাবেন। অনলাইনে নির্ধারিত পর্যটক সংখ্যা পূরণ হয়ে গেলেই আর মিলছে না বুকিং। ফলে সমস্যায় পড়ছেন পর্যটকরা। হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে তাঁদেরকে অথবা গভীর জঙ্গল লাগোয়া নদী, খাঁড়ির পরিবর্তে লোকালয় লাগোয়া এলাকায় নদীবক্ষে ভ্রমণ করেই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে হচ্ছে তাঁদেরকে।
advertisement
আরও পড়ুন: সবচেয়ে প্রিয় খাবারটাই কি এবার খেতে পারবে না বাংলাদেশ! কোন খাবার? ভারত যা করল, শুনে চমকে উঠবেন!
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আগে অফলাইনে মিলত পর্যটকদের অনুমতি। কিন্তু সম্প্রতি সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প সম্পূর্ণ অনলাইনেই বুকিং ব্যবস্থা চালু করেছে। পর্যটক পিছু অনুমতি মূল্য, জলযানের অনুমতি মুল্য, গাইডের অনুমতি মূল্য সবই বাড়ানো হয়েছে সম্প্রতি। সে সবে সমস্যা না হলেও পর্যটকদের প্রবেশের উর্ধসীমা বেঁধে দেওয়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। কারণ সারা বছর সেই পরিমাণ পর্যটক সুন্দরবন ভ্রমণে আসেন না, যতটা আসেন এই শীতের মরশুমে। এখন প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১২ হাজারের বেশি পর্যটক আসছেন ভ্রমণে। সেখানে অর্ধেকের বেশি জঙ্গলের অভ্যন্তরে ভ্রমণের অনুমতি না পেয়ে হতাশ হচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে এক পর্যটক বলেন, “পরপর দুদিন চেষ্টা করেও অনলাইনে বুকিং করতে পারিনি। তাই হতাশ হয়েই এবার ফিরে যেতে হচ্ছে।”
আরও পড়ুন: মাত্র ৪৫ টাকা খরচ করলেই ঘুরে আসা যাবে এই জঙ্গল! নির্জনে জমে উঠবে প্রেম!
এদিকে এই সমস্যার ফলে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রতিদিনই বচসায় জড়াচ্ছেন পর্যটকরা। প্যাকেজ বুকিং করে এসে জঙ্গলে ঢোকার অনুমতি না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ তাঁদের অনেকেই। ক্যানিংয়ের এক পর্যটন ব্যবসায়ী বলেন, “অন্তত ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যদি বন দফতর এই ঊর্ধ্বসীমার নিয়ম শিথিল করত তাহলেও কিছুটা সামলানো যেত। এখন প্রতিদিনই পর্যটকদের সঙ্গে ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে। বেড়াতে এসে তাঁরা জঙ্গল দর্শন না করে ফিরে যাচ্ছেন বলে ক্ষোভ প্রকাশও করছেন।”
সুমন সাহা