আর বর্তমানে সিগন্যাল না দেখিয়েই আচমকা বাঁক নিয়ে নেওয়ার ফলে দুর্ঘটনার পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে প্রায় প্রতিদিনই। অবাধ যাতায়াত চলছেই। যার কারণে শহরের বুকে দৈনন্দিন বৃদ্ধি হচ্ছে টোটো গাড়ির দুর্ঘটনার সংখ্যা। আহত হচ্ছেন টোটোর যাত্রীরা।
যাত্রীদের অভিযোগ, যাত্রী ছাড়া উদ্দেশ্যহীন ভাবে শহরের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছে টোটো। ফলে ছোট পরিসরের রাস্তায় সবসময় যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: এক ঘণ্টা! বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে স্থগিতাদেশ! মেডিক্যাল দুর্নীতিতে তোলপাড়
সাধারণ মানুষের অভিযোগ, প্রয়োজনের তুলনায় টোটো সংখ্যা ব্যাপক পরিমাণে বৃদ্ধি পাওয়ায় সামান্য পথ অতিক্রম করতে অনেক সময় লাগছে। টোটোর দৌরাত্ম্যে দূর্ঘটনা বাড়ছে বলে অভিযোগ। রাস্তার উপর প্রায় অর্ধেকের বেশি জায়গা দখল করে যাত্রী তোলার প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠেন টোটো চালকরা। ফলে ব্যাপক যানজট হয় শহরে। যার জেরে সামান্য পথ যেতেই সময় লাগছে অনেকটা।
আরও পড়ুন: রাম মন্দির উদ্বোধনের পরই বাংলা নিয়ে বড় প্ল্যান অমিত শাহের! ২৯ তারিখ নিয়ে বিরাট শোরগোল
কিন্তু টোটোর বাড়বাড়ন্তে সকাল-সন্ধ্যায় বহরমপুর শহরের রাস্তা দিয়ে যাতায়াত কঠিন হয়ে পড়েছে। নিত্য যানজটে শহরবাসীর নাভিশ্বাস উঠছে। বহরমপুর বাসট্যান্ড থেকে বেরনোর রাস্তাই কার্যত টোটো স্ট্যান্ড হয়ে উঠেছে। তবে সকাল ও বিকালে দুটি সিফটে টোটো চালানোর কথা ঘোষণা করে বহরমপুর পৌরসভা। কিন্তু ঘোষণা হলেও বাস্তবে তা রুপ নেয়নি। যার কারণে দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে শহর বহরমপুরে।
যদিও বহরমপুর ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে শহরে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার যথেষ্ট উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও টোটো চালকদের উদাসীন মনোভাব এই যানজটের মূল কারণ বলে জানাচ্ছেন অনেকে। বহরমপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় জানান, বর্তমানে শহরে অত্যধিক পরিমাণে টোটো চলাচল করছে। তবে আগামী দিনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে যাতে করে শহরে দিনে দু’বেলা টোটো চলাচল করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। পৃথক ভাবে টোটো চলাচলের ফলে শহরে যানজট নিয়ন্ত্রণ আসবে। ফলে যানজট অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে।
—— কৌশিক অধিকারী