তবে দুর্গা পুজোর অষ্টমীর মতন বাড়ির গৃহিণীদের রান্না বন্ধ এই তিন দিন রাতে চলবে এক হাঁড়িতে একসঙ্গে বসে পাত পেড়ে খাওয়া। ১২ মাসের ১৩ পার্বণের বহু প্রাচীন শহর শান্তিপুর। ঘরে ঘরে লক্ষ্মী পূজার মতন এখানে শ্রীকৃষ্ণের ছোটবেলার রূপ গোপাল পূজিত হন। উচ্চতায় কোথাও ১৫ ফুট কোথাও ২৫ ফুটের গোপাল পর্যন্ত দেখা যায়। এমনকি বেশকিছু জায়গার নামও বড় মেজ সেজ এ ধরনের গোপাল কেন্দ্রিক। এমনকি দোল উৎসব পর্যন্ত শুধু একদিন নয় চলে প্রায় এক পক্ষ কাল ধরে। তবে বিভিন্ন পাড়া বাড়িতে বাড়িতে পুজো হলেও শান্তিপুরে গোপাল পুজো নিয়ে এত আড়ম্বরতা বোধহয় ইদানিংকালের মধ্যে শান্তিপুরে এই প্রথম।
advertisement
আরও পড়ুন: তাপমাত্রা বাড়ছে দ্বিগুণ গতিতে, মার্চেই তাপপ্রবাহ নাকি ফের একবার বৃষ্টি হয়ে দেবে স্বস্তি
যেহেতু ধর্মীয় এবং ইতিহাস প্রসিদ্ধ পাগলা গোস্বামী বাড়ির নাট মন্দিরে এবং সেই এলাকার মানুষজন এই আয়োজন করছেন তাই এখানকার পুজোও ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে। গোপালের ভোগের ক্ষেত্রেও শুদ্ধ বস্ত্রে সুদ্ধাচারে মন্দিরে ২৫ রকম মিষ্টান্ন প্রস্তুত করেছেন উদ্যোক্তারা।
আরও পড়ুন: ফুটবলার পিকের বাড়ির খুনের ঘটনার পেছনে আসল কারণ কি? উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য!
বরাবরের মতন একই জায়গায় ২৫ ফুট প্রতিমা নির্মিত হয়েছে প্রায় একমাস ধরে। উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন সাম্প্রতিক কিছুদিন আগে সামাজিক দায়িত্ব পূরণে রক্তদান করে দোল উৎসব পালন করার নানান পরিকল্পনা গৃহীত হয়। তবে পাড়ার নিঃসন্তান কিংবা পড়াশোনা বা কাজের সুবাদে সন্তানদের বাইরে থাকার ফলে যাতে মা-বাবা কোনোভাবেই একাকীত্ববোধ না করেন সেদিকেও নজর দেওয়া হয়েছে পাড়ার whatsapp গঠনের মাধ্যমে ।
মৈনাক দেবনাথ





