দলীয় নেতৃত্ব, কর্মী-সমর্থক, বিধায়কের উপস্থিতিতে বর্ধমান উত্তর বিধানসভার হাট গোবিন্দপুরে জোরদার প্রচার করেন তিনি। প্রচারের শেষ লগ্নে দলীয় পতাকা হাতে বাজনার সঙ্গে তাল মিলিয়ে নাচতে দেখা গেল কীর্তি আজাদকে। একই সাথে মাদলও বাজালেন তিনি।
দলীয় পতাকা হাতে এই রকম নাচ কেন? কীর্তি আজাদ জানান, ইয়ে দিদি কা ঝান্ডা হে, জো হর বকত লহেরানা চাহিয়ে। তার পরই তাঁর জবাব, পার্টির ঝান্ডা, কর্মীদের উৎসাহ ও আদিবাসী বোনেরা যখন সঙ্গে আছে, বাজনা বাজছে তখন নাচতে মন চায়।
advertisement
আরও পড়ুন- ট্রাফিক যতই থাক, ভুলেও ‘এই’ কাজগুলো করা চলবে না, করলেই গাড়ি একেবারে নষ্ট
পাশাপাশি মিছিল চলাকালীন এক পুলিশ কর্মীর ভুড়ি দেখে তাঁকে ফিটনেস ঠিক রাখার পরামর্শও দেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি ফিটনেস রাখার জন্য সবাইকে বলি। ফিটনেস থাকলে স্বাস্থ্য ভাল থাকবে, মাথা ভাল কাজ করবে, উজ্জীবিত থাকবেন, কাজে মন পাবেন। আমি পুলিশ কর্মীকে বলেছি আমার সাথে প্রতিদিন চলো, আমি ফিট করে দেব।
পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচী অনুযায়ী, কীর্তি আজাদ বর্ধমান উত্তর বিধানসভার হাটগোবিন্দপুরে যান জনসংযোগ ও প্রচারে। সেখানে বড় কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেন তিনি। প্রথমে দলীয় বৈঠক করেন। তার পর কলেজ মোড় হয়ে দলীয় কার্যালয় পর্যন্ত জনসংযোগ করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক নিশীথ প্রামাণিক, ব্লক সভাপতি পরমেশ্বর কোঙার,যুব সভাপতি সৌভিক পান সহ অনান্যরা।
প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার দিনই বর্ধমানে এসে দলীয় নেতৃত্বে সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কীর্তি আজাদ। এর পর বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী মা সর্বমঙ্গলার মন্দিরে পুজো দেন। সেদিন নিজের নামে দেওয়াল লিখন করেছিলেন কীর্তি।
আরও পড়ুন- পেট্রোল গাড়িতে ডিজেল ঢেলে ফেললে কী হতে পারে? এমন ভুলে ভয়ঙ্কর কাণ্ড হবে
এর পর বর্ধমানের রাধারানি স্টেডিয়ামে ক্রিকেট খেলতে নামেন বিশ্বকাপ জয়ী জাতীয় দলের এই প্রাক্তন সদস্য। এরপর কয়েক দিন দুর্গাপুরে প্রচার সেরে রবিবার বর্ধমানে আছেন কীর্তি আজাদ। অনেকের সঙ্গে ভাঙা ভাঙা বাংলাতেও কথা বলেন তিনি। সাংবাদিকদের বলেন, আর একমাসে বাংলা অনেকটাই শিখে যাব।