মন্দির কমিটির সূত্রে জানা যায়, মোট ৩২৬০ স্কোয়ার ফুট জায়গা নিয়ে রয়েছে তারাপীঠ মন্দির চত্বর। যার মধ্যে ৩৫০ স্কোয়ার ফুট জায়গার মধ্যে মায়ের গর্ভগৃহ।সেই গর্ভগৃহকে অক্ষত রেখে প্রথম পর্যায়ে খননকার্য চালিয়ে ৫০ শতাংশ আন্ডারগ্রাউন্ডের কাজ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। পশ্চিম দিকে মাটির তলায় ইতিমধ্যে ৭০ ফুট বাই ২৫ ফুটের ভোগঘর ও ডাইনিং রুম নির্মাণ হয়েছে। ২০২০ সালে বোলপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে তারাপীঠের দ্বিতীয় পর্যায়ের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য আরও তিন কোটি টাকা বরাদ্দ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
advertisement
আরও পড়ুন: মাত্র ১০ বছর বয়সে এত বড় আবিষ্কার! রক্ষা পাবেন মহিলারা, উপকারিতা জানলে আপনিও স্যালুট জানাবেন
যদিও কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর গত বছরের শুরুতে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজে হাত লাগায় টিআরডিএ। সেইমত নারায়ণ, হনুমান ও বামদেবের প্রাচীন মন্দির ভেঙে একপাশে নতুন মন্দির নির্মাণ করা হয়। গতবছর অক্ষয় তৃতীয়ার দিন নবমির্মিত মন্দিরে সেইসব বিগ্রহ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকেই থমকে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ। এরই মধ্যে গত নভেম্বরে তৃতীয় পর্যায়ের কাজের জন্য ২ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কিন্তু দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ সেভাবে শুরু না হতেই তৃতীয় পর্যায়ের কাজের ওয়ার্কঅর্ডার ইস্যু হওয়ায় নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে থাকে। অবশেষে কয়েকদিন আগে থেকে পুরোদমে শুরু হল দুই পর্যায়ের কাজ। টিআরডিএ ভাইস চেয়ারম্যান সুকুমার মুখোপাধ্যায় জানান, দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজে পূর্বদিকে খননকার্য চালিয়ে ২৫০০ স্কোয়ার ফুট আন্ডারগ্রাউন্ড হবে। ফুটব্রিজ ও নাট মন্দির ভেঙে দেওয়া হবে।
জীবিতকুণ্ড থেকে আন্ডারগ্রাউন্ড দিয়ে লাইন ধরে ভক্তরা গর্ভগৃহ লাগোয়া বিরামমঞ্চের কাছে উঠবেন। এতে মন্দিরের চাতাল বড় হবে। এরপরই বড় আকারের নাট মন্দির নির্মাণ করা হবে। তেমনই মন্দিরের খোলামেলা পরিবেশ ফিরে আসবে। জীবিতকুণ্ড সহ মন্দিরের বাউন্ডারি ওয়াল দিয়ে চারদিক সৌন্দর্যায়ন করা হবে। ইতিমধ্যেই জীবিতকুণ্ড ঘাটের কাজের জন্য সেই ঘাটের জল মেরে ফেলা হয়েছে। খুব শীঘ্রই সেই কাজ শুরু হবে।
সৌভিক রায়





