বাঁকুড়ার ছাতনার শুশুনিয়া গ্রামের গন্ধেশ্বরী নদীর পাড়ে ফুটবল ময়দানে চলবে এই নবকুঞ্জ মেলা। ললিতা, বিশাখা, সুচিত্রা, সুঃচম্পক লতিকা, সুদেবী, ইন্দ্রদেবী, তুঙ্গবিদ্যা, রঙ্গদেবী, শ্রীমতী রাধারানী এই নয়টি কুঞ্জে ন’দিনব্যাপী মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠিত হবে। এই মেলায় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে বলে জানিয়েছেন নবকুঞ্জ মেলার উদ্যোক্তারা। খড়, বাঁশ, দড়ি প্রভৃতি পরিবেশবান্ধব সামগ্রী দিয়েই তৈরি করা হচ্ছে কুঞ্জগুলি। এছাড়াও এই মেলায় নিরামিষ খাদ্য পণ্য ও চড়ক সহ বাচ্চাদের মনোরঞ্জনের জন্য পসরা নিয়ে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত ও স্থানীয় বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছেন শতাধিক ব্যবসায়ী।
advertisement
আরও পড়ুন: দরকার নেই জমি চষার, লাগবে না সারও! নামমাত্র পরিশ্রমে এই পদ্ধতিতে জমিতে বীজ ফেললেই ফলবে ‘সোনা’
বাঁকুড়া জেলার প্রাগৈতিহাসিক যুগের ভূমিখণ্ড শুশুনিয়া পাহাড়। দূর দূরান্ত থেকে বহু পর্যটক এখানে আসেন। এখানকার প্রকৃতি অত্যন্ত মনোরম। শুশুনিয়া পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান করছে শুশুনিয়া গ্রাম। সেই গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে গন্ধেশ্বরী নদী। এই গন্ধেশ্বরী নদীর তীরেই বসবে অখণ্ড তারকব্রহ্ম নাম সংকীর্তন এবং মেলা। মেলার নয়দিনই নিরামিষ। মেলার দিনগুলিতে মেলা প্রাঙ্গণে থাকবে না আমিষ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
নয়টি মঞ্চ করে নয় দিন ধরে চলবে মেলা। দূরদূরান্ত থেকে বহু ভক্ত আসবেন। সব মিলিয়ে আগামী ক’দিন বেশ জমজমাট থাকবে শুশুনিয়া পাহাড় সংলগ্ন এলাকা। কারণ বসন্তকাল উপলক্ষে এমনিতেই এখানকার প্রকৃতি অত্যন্ত মনোরম হয়ে আছে। এই প্রকৃতি দেখতে পর্যটকরা প্রতিবছরই আসেন। নবকুঞ্জ মেলার দ্বিতীয় বছর শুরু হওয়ায় পর্যটকের ভিড় আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী