দশ মহাবিদ্যা’য় মণ্ডপে কালী, তারা, ষোড়শী, ভুবনেশ্বরী, ভৈরবী, ছিন্নমস্তা, ধূমাবতী, বগলা, মাতঙ্গী এবং কমলা কালীর বিভিন্ন রূপ ছবির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে সেই সঙ্গে নানা ভূত। দর্শণার্থীদের এই মণ্ডপ মুখী হবার অন্যতম আকর্ষণ জ্যান্ত ভুত।
advertisement
উৎসবের রাত আতসবাজি, সেলফিতে মজে…ট্রেনের হর্ন শুনতে পেল না কেউ! পিষে গেল ৬১ প্রাণ!
পুজো মণ্ডপে প্রবেশ করলেই গা ছমছমে অনুভুতি। মণ্ডপে প্রবেশ করলে প্রথমেই চোখে পড়বে অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিত্যক্ত একটি প্রাসাদ। অন্ধকারাচ্ছন্ন প্রাসাদ সামনের দিকে তাকালে নজর আটকে যাচ্ছে মাকড়সার জাল এবং ঝুলন্ত শিকড়ে। পরিতক্ত প্রাসাদ যেন ভুতের আখড়া। প্রাসাদের মধ্যে প্রবেশ করলেই এদিক – ওদিক থেকে বেরিয়ে আসছে জ্যান্ত ভূত, যা ছোটদের পাশাপাশি বড়দেরও ক্ষণিকের জন্য ভয় ধরাচ্ছে। প্রাসাদের সাম্যের অংশ পার করে, আরও একটু এগিয়ে গেলে দেখা যাবে পৌরাণিক মতে কালীর নানা রূপ দেয়ালের বিভিন্ন অংশে। এরপর কিছুটা এগিয়ে গেলে প্রাসাদের শেষ প্রান্তে একটি বিশাল শিবলিঙ্গ।
আর একটু সামনের দিকে এগিয়ে গেলেই চোখে পড়বে পরিত্যক্ত একটি কুয়ো। সেই কুয়োর কপি কলের দন্ডে শুকনো গাছের কঙ্কালের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে মানবদেহের কঙ্কাল। ঠিক তার পিছনে খড়ের চালায় মা কালীর মূর্তি। প্রতিমা মণ্ডপ খড়ের চালার চতুর্দিক বিভিন্ন মডেল দিয়ে সাজানো হয়েছে। কোথাও দেখা যাচ্ছে ভুতে দোল খাচ্ছে, কোথাও আবার অন্তিম যাত্রা অর্থাৎ মানব দেহের মৃত্যুর পর শেষকৃত্য সম্পন্ন মডেলের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।
আলোক ঝলমল শহরের মধ্যে অন্ধকারাচ্ছন্ন ভুতুড়ে একটা প্রাসদের রূপ দেওয়া হয়েছে মণ্ডপকে। শিশুরা প্রথমে এই মণ্ডপ দর্শনে ভূতের ভয়ে কাবু হলেও পরে বাবা-মায়ের হাত ধরে ভূত দর্শন করছে উৎসাহের সঙ্গে। শিশুদের সঙ্গে বড়রাও শৈশবকে উপভোগ করছেন এখানে।
এ প্রসঙ্গে বটতলা কলাবাগান শিব মন্দির কমিটির সভাপতি প্রীতম দাস জানান, এই মণ্ডপ সজ্জা গত প্রায় ৩ মাস যাবত। শিশুদের আকর্ষণের পাশাপাশি পৌরাণিক কাহিনী তুলেধরে বড়দের আকৃষ্ট করা’র চেষ্টা। এবারের মন্ডপ সজ্জা আরো বেশি শহরবাসীকে আকৃষ্ট করেছে। পুজোর আগের দিন থেকেই রীতিমত দর্শনার্থীর ঢল নেমেছে। অল্প বাজেটের মধ্যে বটতলা শিব মন্দির কমিটির সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এবারের পঞ্চম বর্ষে আরও আকর্ষণীয় মণ্ডপ।