Bhawanipur Incident: 'শারীরিক অত্যাচারটা হত...' ভবানীপুরে ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুতে হাত রয়েছে সঞ্জয় রাইয়ের বোনের? সত্যিটা বলে দিলেন গৃহশিক্ষিকা
- Published by:Tias Banerjee
Last Updated:
Bhawanipur Student Death Mystery ভবানীপুরের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী সঞ্জনা সিংহের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য। অভিযুক্ত সৎ মা আরজি কর কাণ্ডে দোষী সঞ্জয় রাইয়ের বোন। গৃহশিক্ষিকার বিস্ফোরক দাবি—“রাতভর পড়ানো হত, না পারলে মারধর করা হত।” প্রতিবেশীদের অভিযোগ, বছর ধরে চলত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। ঘটনায় তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
কলকাতা: ভবানীপুরে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত সৎ মা, যিনি আরজি কর কাণ্ডে দোষী সঞ্জয় রাইয়ের বোন! ইতিমধ্যেই বিদ্যাসাগর কলোনির ঘটনায় উঠে এসেছে একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ। মৃতার দেহ উদ্ধার হয়েছে পরিবারের আলমারি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত হয়েছে কিশোরীর সৎ মা ও বাবা। অভিযোগ উঠেছে, বছরের পর বছর ধরে মেয়েটির উপর চলত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন।
advertisement

ভবানীপুরে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত সৎ মা, যিনি আরজি কর কাণ্ডে দোষী সঞ্জয় রাইয়ের বোন!
advertisement
‘রাতভর পড়ানো হত, না পারলে মাথা ঠুকিয়ে দেওয়া হত’
মৃতার গৃহশিক্ষিকা জানিয়েছেন, “রাত্রে দুটো-তিনটে পর্যন্ত ওকে পড়ানো হত। না পারলে দেওয়ালে মাথা ঠুকে দিত। পরদিন পরীক্ষা থাকলে সারা রাত না ঘুমিয়ে পড়তে বাধ্য করা হত। আমি জানালা থেকে দেখেছি — বাবা-মা মারছে, স্যার মারছে। শারীরিক অত্যাচারটা হত পড়াশোনা নিয়ে, মানসিক অত্যাচার হত সব কিছু নিয়ে।”
advertisement
তাঁর দাবি, মেয়েটির ফলাফল খারাপ হলে গালাগাল, চুল টানা, বেল্ট দিয়ে মারধর — এসব নিয়মিত চলত। “আমরা বিচার চাই। কে মারল, কেন মারা গেল, সেটা জানতে চাই,” — গৃহশিক্ষিকার বক্তব্য।
অভিযুক্ত সৎ মা, আরজি কর কাণ্ডে দোষী সঞ্জয় রায়ের বোন
এই ঘটনায় অভিযুক্ত সৎ মা সম্পর্কে জানা গিয়েছে, তিনি আরজি কর হাসপাতাল কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়ের বোন। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার জন্মদাত্রী মা কয়েক বছর আগে রহস্যজনকভাবে মারা যান। তখনও তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। স্থানীয়দের অভিযোগ, এখন ফের মেয়ের মৃত্যুতেও একই প্যাটার্ন দেখা যাচ্ছে।
advertisement
এক প্রতিবেশী বলেন, “এটা প্রথম নয়, আগেও ওই বাড়িতেই ওর স্ত্রী গলায় দড়ি দেয়। এখন মেয়েটার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। আমরা শাস্তি চাই — হয় ফাঁসি নয় জেল।”
প্রতিবেশীদের বিস্ফোরক অভিযোগ
প্রতিবেশীদের দাবি, সঞ্জনাকে প্রায়ই বেল্ট দিয়ে মারা হত, খেলতে যাওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, এমনকি রাতভর জাগিয়ে পড়তে বাধ্য করা হত। স্থানীয় এক মহিলা জানান, “ওর ঠাকুমা নিজেই বলেছে, বেল্ট দিয়ে পেটাতো নাতনিকে। বাইরে বেরোতে দিত না।”
advertisement
ঘটনার পর মঙ্গলবার সকাল থেকেই এলাকা উত্তপ্ত। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অভিযুক্তদের বাড়িতে চড়াও হন। অনেকেই মনে করছেন, এই মৃত্যু আত্মহত্যা নয়, বরং দীর্ঘ নির্যাতনের ফলেই এমন পরিণতি।
পুলিশের তদন্ত ও নতুন মোড়
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না, তবে পরিবার ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
ঘটনার প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত সৎ মা ও পিতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হতে পারে।
ঘটনার প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত সৎ মা ও পিতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হতে পারে।
advertisement
এই ঘটনায় এলাকাবাসীর ক্ষোভ তীব্র। তাঁদের বক্তব্য, “মা মরেছিল রহস্যজনকভাবে, এখন মেয়ে। এবার যদি বিচার না হয়, আমাদের প্রতিবাদ থামবে না।”
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
Kolkata [Calcutta],Kolkata,West Bengal
First Published :
October 21, 2025 8:13 PM IST

