অনলাইন সহ স্থানীয় বাজার থেকে কাঁচামাল নিয়ে এসে বাড়িতে বসেই টেরাকোটার অলঙ্কার সহ ধীরে ধীরে অক্সিডাইজ ও জিঙ্ক জুয়েলারি বানাতে থাকেন। এলাকার স্থানীয় মেলা সহ দুর্গাপুরের হস্তশিল্প মেলা গুলিতে সেইসব জুয়েলারি বিক্রি করে আয়ের দিশা খুঁজে পান তিনি। সংসার এবং সন্তানদের সামলে কাজের অবসরে এই সমস্ত জুয়েলারি তৈরি করেন তিনি।
advertisement
দীপ্তি দেবী জানান, প্রায় ২০ বছর আগে দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের বাসিন্দা শশাঙ্কশেখর মন্ডলের সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়। শশাঙ্কবাবু বেসরকারি সংস্থায় প্রিন্টারের কাজে নিযুক্ত ছিলেন। তাঁদের একটি পুত্রসন্তান ও একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।শশাঙ্কবাবুর পিতা দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের কর্মী ছিলেন। শশাঙ্কবাবুর বিয়ের প্রায় কয়েক বছরের মধ্যেই তাঁর পিতা অবসরপ্রাপ্ত হন। আর্থিকভাবে স্বচ্ছল সুন্দর একটি সংসারে ২০১৫ সালে হঠাৎই ঘটে যায় এক ভয়াবহ ঘটনা।
শারীরিক উচ্চ রক্ত চাপের কারণে সেরিব্রাল অ্যাটাকে আক্রান্ত হন শশাঙ্কবাবু, ফলে তাঁর শারীরিক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। রোজগারের রাস্তাও বন্ধ হয়ে যায়।
তাঁর অবসরপ্রাপ্ত পেনশন ভোগী বৃদ্ধ পিতার ঘাড়ে গোটা পরিবার চালানোর চাপ পড়ে যায়। ঘটনার প্রায় বছর খানেক পরে দীপ্তি দেবী কাদা-মাটি দিয়ে নানান নক্সার টেরাকোটার গহনা তৈরি করতে শুরু করেন। সেই গহনাগুলি রঙিয়ে তুলে, রঙবেরঙের সুতো ও ধাগাতে জুড়ে মালা ও কানের দুল তৈরি করে বিক্রি করতে শুরু করেন। পরবর্তীকালে অক্সিডাইজ ও ক্লে ইত্যাদি দিয়ে জুয়েলারি তৈরি করে আয় করতে শুরু করেন।
বর্তমানে তিনি ভালই আয় করছেন গয়না বিক্রয় করে।তাঁর সেই উপার্জিত অর্থ দিয়েই তিনি সংসারের পাশাপাশি ছেলেমেয়ের পড়াশোনার খরচও চালাচ্ছেন। তাঁর কন্যা অ্যানিমেশন নিয়ে ভিন জেলায় পড়াশোনা করছেন। দীপ্তি দেবীর মনোবল ও ইচ্ছেশক্তিই তাঁকে আজ সফল করে তুলেছে।





