Money Making Idea: ৩ মাসেই লক্ষ টাকা! ধান, সবজি ছেড়ে পশ্চিম বর্ধমানের চাষিরা করছেন 'এই' চাষ, লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে লাভের অঙ্ক

Last Updated:

প্রচলিত ফসলের তুলনায় কম খরচে বেশি লাভ দিতে পারে এই চাষ বলে দাবি কৃষকদের। অতিরিক্ত আয়ের উৎস হিসেবে এই ফুল চাষ জনপ্রিয় হচ্ছে পশ্চিম বর্ধমান জেলায়।

+
মানি

মানি মেকিং চাষে মজেছেন পশ্চিম বর্ধমানের চাষিরা

দুর্গাপুর,দীপিকা সরকার: মেদিনীপুর ও নদিয়া-সহ দক্ষিণ দিনাজপুরের পরে এবার গাঁদা ফুল ফুটিয়ে স্বনির্ভর হচ্ছেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার মহিলা থেকে পুরুষ চাষিরা।প্রচলিত ফসলের তুলনায় কম খরচে বেশি লাভ দিতে পারে এই চাষ বলে দাবি কৃষকদের। অতিরিক্ত আয়ের উৎস হিসেবে গাঁদা ফুল চাষ জনপ্রিয় হচ্ছে এই জেলায়।কিছু কৃষক আবার বিকল্প আয় হিসাবেও গাঁদা ফুল চাষ করছেন এবং তাঁরা কয়েক বছরে এই ফুল চাষ করে বেশ সাফল্য লাভ করেছেন। বাজারের চাহিদা মতো সারা বছর তাঁরা নানা প্রজাতির গাঁদা ফুল চাষ করছেন।
উল্লেখ্য, এই জেলায় ধান ও দানাশষ্য-সহ শাকসবজির চাষের জমি সামান্য। খুব কম পরিমাণে চাষাবাদ হয়। কারণ অধিকাংশ জমি কয়লা খাদান, মোরাম খাদান সহ অনুর্বর। জেলায় মূলত কাঁকসা ব্লকে অজয় নদ ও দামোদর নদকে কেন্দ্র করে চাষাবাদ গড়ে উঠেছে৷ কৃষকদের নিজস্ব জমি-সহ নদের পাড়ের পরিত্যক্ত জমিতে চাষাবাদ করে জীবন-জীবিকা অর্জন করেন।
advertisement
advertisement
স্বল্প জমি থাকায় কোন চাষাবাদ লাভজনক সেই দিকে বর্তমানে ধ্যান দিচ্ছেন কৃষকরা। সেই মতো বহু কৃষক পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের বাজারের চাহিদা মতো গাঁদা ফুল চাষে মেতে উঠেছেন কয়েক বছর ধরে। ওই ব্লকের এক ফুল চাষি ষষ্ঠী রুইদাস জানান, এই জমিতে ধান চাষ করলে চাষের খরচ বাদ দিয়ে তিনমাস পরে মাত্র পাঁচ হাজার টাকা আয় হয়। আর ওই পরিমাণ জমিতে গাঁদা ফুল চাষ করলে তিন চার মাসে প্রায় এক লক্ষ টাকা আয় হয়। কাঁকসা ব্লকে তাই শতাধিক কৃষক বাজারে চাহিদা থাকায় গাঁদা ফুল চাষের দিকে ঝুঁকছেন।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
দামোদর নদ লাগোয়া ওই ব্লকের কেটেল গ্রামে প্রায় ৫০ জন কৃষক ধান চাষ ছেড়ে জমিতে গাঁদা ফুলের চাষ করছেন। ফলে যেমন কৃষকরা মুনাফা লাভ করেছেন তেমনই এলাকার গৃহবধূ থেকে যুবতীরাও ওই ফুল চাষের ওপর পরোক্ষভাবে স্বনির্ভর হচ্ছেন। গাঁদা ফুলের জমি থেকে ফুল সংগ্রহ করতে মহিলাদের কাজে লাগাচ্ছেন জমি মালিকরা। পাশাপাশি ওই ফুল সুতলিতে গেঁথে মালা তৈরি করতে ঘরে ঘরে মহিলারাও সাবলম্বি হচ্ছেন। ফলে ঘরে বসেই মহিলারা রোজগারের দিশা দেখছেন ফুল চাষে। উল্লেখ্য, এবার পুজোর মরশুমে  এই গাঁদা ফুল বাজারজাত করে কৃষকরা ব্যাপক মুনাফা লাভ করেছেন। যে পরিমাণ মালা বিক্রি করে সারা বছর ৬০ থেকে ৭০ টাকা মেলে সেই পরিমাণ মালা কালী পুজোর সময় বিক্রি করে পেয়েছেন ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। অন্য বছরের থেকে এই বছর অতিরিক্ত আয় করেছেন তাঁরা। পূর্ব মেদিনীপুরের, দক্ষিণ দিনাজপুর ও নদিয়ার মতো অন্যান্য জেলায় কৃষকরা গাঁদা ফুল চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। ওই জেলার চাষিদের দেখে উৎসাহিত হয়েই পশ্চিম বর্ধমান জেলার কৃষকরাও গাঁদা ফুলের চাষের দিকে ঝুঁকছেন।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Money Making Idea: ৩ মাসেই লক্ষ টাকা! ধান, সবজি ছেড়ে পশ্চিম বর্ধমানের চাষিরা করছেন 'এই' চাষ, লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে লাভের অঙ্ক
Next Article
advertisement
Bangladesh Leader: ‘সেভেন সিস্টার্সকে ভারত থেকে আলাদা করে দেব’! হুমকি বাংলাদেশের নেতার! বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় দেওয়ার বার্তা
‘সেভেন সিস্টার্সকে ভারত থেকে আলাদা করে দেব’! হুমকি বাংলাদেশের নেতার!
  • ‘সেভেন সিস্টার্সকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেব’

  • ভারতবিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলিকে আশ্রয় দিক বাংলাদেশ

  • হুমকিমূলক ভাষণ বাংলাদেশের নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর

VIEW MORE
advertisement
advertisement