আরও পড়ুনঃ লাভের আশায় ধানের বদলে বিকল্প চাষে কৃষকরা! কী ফসল ফলাচ্ছেন? জানলে অবাক হবেন
দারিদ্র্য জয় করে উচ্চ মাধ্যমিকে ব্লকের প্রথম পিড়াকাটার ফুলমণি মাহাত। বাড়িতে বাবা-মা ছাড়াও তিন বোন এক ভাই। বাবা নিমাই মাহাত নিজেদের সামান্য জমিতে চাষাবাদ করেন। মা জ্যোৎস্না মাহাত গৃহবধূ। বাড়ি জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুরের একদা মাও ‘আঁতুড় ঘর’ পিড়াকাটা থেকে আরও ৬-৭ কিলোমিটার দূরে প্রত্যন্ত জঙ্গল গ্রাম রামেশ্বরপুর।
advertisement
হাতির ভয় উপেক্ষা করেই রাজ্য সরকারের দেওয়া ‘সবুজ সাথী’ সাইকেলে চেপে প্রতিদিন স্কুল আর টিউশনের ব্যাচে যাতায়াত। সমস্ত বাধা-বিপত্তিকে জয় করে, অভাবের সংসার থেকে কিছুটা স্বপ্নের মতোই উত্থান ফুলমণি মাহাত’র! পিড়াকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের ‘গর্ব’ ফুলমণির ফলে উচ্ছসিত গোটা শালবনী ব্লক। উচ্চ মাধ্যমিকে প্রায় ৯৪ (৯৩.৮) শতাংশ নম্বর (৪৬৯) পেয়ে পিড়াকাটা উচ্চ বিদ্যালয় (উচ্চ মাধ্যমিক) থেকে উচচমাধ্যমিক পাশ করেছে সে।
ফুলমণিই এবার জঙ্গলমহল শালবনী ব্লকের সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপক। ভূগোলে সহ ৩টি বিষয়ে ৯৬ নম্বর পেয়েছে ফুলমণি। ইচ্ছে ভূগোল নিয়ে পড়াশোনা করার। শিক্ষিকা হতে চায় প্রত্যন্ত রামেশ্বরপুর এলাকার মাহাত পরিবারের এই মেজ মেয়ে। বরাবরের মতোই বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা ফুলমণির পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন।এদিকে, একদা মাও ‘আঁতুড় ঘর’ পিড়াকাটার এই মাহাত পরিবারের মেয়ের সাফল্যে গর্বিত এলাকাবাসী!
Ranjan Chanda