জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিনের বৃষ্টি পূর্ব বর্ধমান জেলায় ১১৫ হেক্টর বীজতলা জলে নষ্ট হয়ে গেছে। প্রায় ১৪২ টি বাড়ি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ৫০০টির মত বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও বেশ কিছু গ্রামীণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিন পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি দু’নম্বর ব্লকে বর পলাশন দু-নম্বরই পঞ্চায়েতের বিলবাড়ি ও করুরি গ্রামেও ক্ষয়ক্ষতি সরজমিনা পরিদর্শন করে একটি দল।
advertisement
আরও পড়ুন: ৪ লাখ চারা বিলি…! শুধু বৃক্ষরোপণ নয়, রয়েছে এক মহৎ উদ্দেশ্য
এদিন বিলবাড়ি ও করুরি গ্রামে পরিদর্শনে যান ক্রেতা ও সুরক্ষা দফতরের সচিব নিলাম মিনা, ভূমি দফতরের অধিকর্তা ( রেকর্ড ও সমীক্ষা) বিভু গোয়েল সঙ্গে ছিলেন জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি) ও এসডিও (বর্ধমান দক্ষিণ)। প্রথমে পারহাটিতে মেমারি দু’নম্বর ব্লক দফতরে যায় দলটি এবং সেখান থেকে তারা প্রথমে বিলবাড়ি গ্রামে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। গ্রামবাসীদের দাবি বৃষ্টি হলেই বাঁকার জল উঠছে গ্রামে ঢুকে পড়ে তারপর কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির জন্য বেশ কয়েকটি বাড়ির বেহাল দশা হয়ে পড়েছে। এক গ্রামবাসী জানান, তাদের রাতে বাড়িতে থাকতে নিষেধ করা হয়েছে। গ্রামের একটি প্রাথমিক স্কুলে রাত কাটানোর পরামর্শ দিয়েছে দলটি কারণ যে কোন সময়ে বাড়ি ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এরপরে করুরি গ্রামে বাঁকার ওপর একটি সেতু ভেঙ্গে গিয়েছে জানতে পেরে সেই সেতুটিও পরিদর্শনে যায় দলটি। সেতুর পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িও সরজমিনে পরিদর্শন করেন তারা। গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান জানেন, ওই সেতুটি তৈরির জন্য পঞ্চায়েত থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে তারা সেতুটি তৈরি আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি জানান, পরিদর্শনের রিপোর্টের পরে ক্ষতিগ্রস্তরা বাড়ি পাবে কিনা তা সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলার মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নবান্নের দলটির কাছে রিপোর্ট করেছে জেলা প্রশাসন।
সায়নী সরকার





