পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে বাঁচার চেষ্টা করে হরিণ শাবকটি। গ্রামবাসীরা হরিণটিকে উদ্ধার করে। পুকুর থেকে তোলার কিছু সময়ের মধ্যেই মারা যায় প্রাণীটি। খবর দেওয়া হয় বন দফতরকে। ঘটনাস্থলে ঝাড়গ্রাম বন দফতরের কর্মীরা গিয়ে মৃত হরিণের দেহ উদ্ধর করে। মৃত হরিণটিকে ঝাড়গ্রাম রেঞ্জ অফিসে নিয়ে আসা হয়েছে বলে খবর বন দফতর সূত্রে। সেখানে মৃত হরিণের দেহ ময়নাতদন্তের পর শেষকৃত্য করা হবে।
advertisement
তবে জঙ্গল ছেড়ে কেন গ্রামে ঢুকল হরিণটি সেটাও খতিয়ে দেখছে বনবিভাগের কর্মীরা। গ্রামবাসীদের সাথে কথা বললে তাঁরা জানান জঙ্গলে জীবজন্তুর সংখ্যা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। বিগত কয়েক বছর যে ভাবে বন সৃজন হয়েছে তাতে বিভিন্ন জীবজন্তুর থাকার ও তাদের বংশ বিস্তারের অনুকূল পরিবেশ হয়েছে। তাঁরা আরও জানান গত এক বছর ধরে কিছু অসাধু মানুষ জঙ্গল ধ্বংস করারা চেষ্টা চালাছে। যার জেরে হাতির তাণ্ডবে মানুষের প্রাণনাশ হচ্ছে, ঘর বাড়ি ভাঙছে হাতি, বাড়ছে ক্ষয় ক্ষতি।
এর আগেও লালগড়ের লোকালয়ে হরিণকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল। সেখানেও কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছিল হরিণ। বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে যে জঙ্গলে জীবজন্তুর সংখ্যা বৃদ্ধি হচ্ছে, তাই খাবারের জন্য পথ ভুলে দলছুট হয়ে হরিণ টি লোকালয়ের কাছে চলে আসে। সেখানে কুকুরের তাড়া খেয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে বাঁচার চেষ্টা করে। আর জঙ্গল থেকে লোকালয়ে কী ভাবে এল হরিণটি, তা তদন্ত করে দেখা হবে।