আর তারই নিদর্শন হিসেবে প্রায়শই রাস্তার পাশে দেখা যায় খালি বোতল কাচের, বোতল ভাঙা কিংবা অন্যান্য খাবারের শেষ অংশ। চরম অমানবিক এবং অসামাজিক কিছু মানুষ কৃষকদের সর্বনাশ করছেন। নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের বাগআঁচড়া পঞ্চায়েতের লক্ষ্মীনাথপুর ডাঙা মাঠ এলাকাযর ঘটনা। সহজ সরল কৃষকদের প্রতিবাদ খুব একটা কাজ হয় না, তাই জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের।
advertisement
আরও পড়ুন : বান্ধবীর প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে ফেঁসেছিলেন! এবার তিন ছাত্রের সঙ্গে যা করল তাঁর পরিবার, শুনলে হাঁ হয়ে যাবেন
এলাকার দিলীপ প্রামানিক নামে এক কৃষকের পটলের জমি থেকে অগ্নিমূল্য ফসলের প্রায় এক এক মন তুলে নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। যার বাজারদর প্রায় ২-৩ হাজার টাকা। আবার কখনও কলার কাঁদি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। যার বাজারদর প্রায় ২০০০ টাকা। এছাড়াও বেশ কয়েকটি রাস্তার পাশে শুকোতে দেওয়া সারিবদ্ধ পাটকাঠির গাদা নষ্ট করা হচ্ছে। কোথাও ফেলে নষ্ট করা হয়েছে, কোথাও ধরিয়েছে আগুন। স্থানীয় বাপি ধারার এইরকম বেশ কয়েকটি গাদা আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় তিন হাজার টাকা।
আরও পড়ুন : জমা জলে বিপর্যস্ত জীবন! পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝোলালেন গ্রামবাসীরা, উপপ্রধানের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হয়তো সব মিলিয়ে ছয় থেকে সাত হাজার টাকার হবে। কিন্তু, বর্তমান অগ্নি মূল্য সার কীটনাশক ঔষধের বাজারে সেটাই তাদের ক্ষেত্রে অনেকটা। যেখানে চাষে অনুপ্রেরণা জোগানোর জন্য সরকার নানান রকম আয়োজন করছে, সেখানে কৃষকদের ফসল এভাবে নষ্ট হতে দেখে সকলেই তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছেন। তাদের মতে শুধু প্রতিবাদ জানালেই হবে না, দরকার জনপ্রতিরোধ।
আরও পড়ুন : বছরজুড়ে টানাটানি, কিন্তু দুর্গাপুজোতেই স্বপ্নপূরণ! ‘এই’ শিল্পীদের ব্যস্ততা তুঙ্গে
তাই স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যদের নিয়ে তারা শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানাবেন বলে খবর। গ্রামে ঢোকার এই প্রধান পথে বিশেষ নজরদারি রাখার কথাও বলা হচ্ছে। কারণ গ্রামে ঢোকার এই পথে নেই সিসি ক্যামেরা। তবে এলাকাবাসীরা জানাচ্ছেন, সম্প্রতি লক্ষ্মীনাথপুর ঢোকার মুখে পুলের উপরে জলস্তর বৃদ্ধি হয়েছে।
আর সেই কারণে কয়েকদিন পুলিশি টহলদারি ছিল না। সেই সুযোগেই হয়ত দুষ্কৃতীরা এই তাণ্ডব চালিয়েছে। শাসক হোক কিংবা বিরোধী, প্রত্যেকেই দাবি তুলেছেন এলাকায় কিংবা পার্শ্ববর্তী এলাকায় অসামাজিক কাজকর্ম বন্ধ করতে হবে। অবৈধভাবে যারা নেশা জাতীয় দ্রব্য বিক্রি করেন, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা প্রয়োজন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তাদের মতে, মাঝেমধ্যেই ধরপাকড় চললে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ থাকবে। রাতে এই এলাকা দিয়েই প্রয়োজন মাফিক মহিলারাও যাতায়াত করেন। জায়গাটি দুটি পঞ্চায়েত এলাকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল। সেখানে যাতে পুলিশের নজরদারি বাড়ে, সে ব্যাপারে দাবি জানিয়েছেন পথ চলতি সাধারণ মানুষ থেকে স্থানীয় বাসিন্দা, সকলেই।