তবে নিজেরা হাতে তৈরি সরঞ্জামেতেই চলে অনুশীলন। এই সমস্ত সরঞ্জামের মধ্যে ভল্ট দেওয়ার ম্যাট তৈরি করা হয়েছে বাজার থেকে তুলো কিনে। আবার গাছের সঙ্গে অন্য গাছে দড়ি বেঁধে রিং ঝোলানো। বাজার থেকে লোহার সিট লোহার রড কিনে কিনে টেবিল। এছাড়াও বাঁশে দড়ি বেঁধে হার্ডেলস। এক এক করে সমস্ত খেলার সরঞ্জাম। নানা জিনিস জোড় লাগিয়ে নিজেদের খেলার উপযোগী করে নেওয়া হয়েছে। গ্রামের ছেলেমেয়েদের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে প্রশিক্ষণ দিয়ে মানসিক তৃপ্তি পান অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক সুভাষ জাটি।
advertisement
আরও পড়ুন: বুদ্ধির দাম আছে! ডেঙ্গি দমনের কঠিন কাজ হবে সহজ! উপায় বাতলালেন পঞ্চায়েত প্রধান
সামর্থ্য নেই আধুনিক সরঞ্জাম কেনার। নিজেদের হাতে তৈরি সরঞ্জাম দিয়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে গ্রামের ছেলে। জিন্যাস্টিক যোগব্যায়াম প্রশিক্ষণ। আসলে এই গ্রামের অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের ছেলেমেয়েরা যাতে তারা নিজেদের শরীর সুস্থ রাখতে পারে শিক্ষা দীক্ষার মাধ্যমে যারা যাতে ওরা সমৃদ্ধ হতে পারে। নিজেরা প্রতিষ্ঠিত হতে পারে সেই দিক গুরুত্ব রেখে কয়েক দশক ধরে এভাবেই তিনি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এ প্রসঙ্গে প্রশিক্ষক সুভাষ চন্দ্র জাটি জানান, লেখাপড়ার পাশাপাশি গ্রামের ছেলেমেয়েদের শরীর ঠিক রাখতে যোগ ব্যায়াম জিমন্যাস্টিক প্রশিক্ষণ খুব প্রয়োজন। স্বাস্থ্য ঠিক থাকার পাশাপাশি বিভিন্ন চাকরির ক্ষেত্রেও সুবিধা হয়। যদিও জিমন্যাস্টিক প্রশিক্ষণের যথাযথ সরঞ্জামের অভাব। যে সমস্ত লক্ষ লক্ষ টাকা দাম। নিজের কোনরকমে খেলার উপযুক্ত সরঞ্জাম তৈরি করে নেওয়া হয় হাতের কাছের নানা জিনিস দিয়ে। এভাবেই হাজারো ছেলেমেয়ে এখানে প্রশিক্ষণ নিয়ে বড় হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ৫০ জন প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।
রাকেশ মাইতি