স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০১৭ সালে শ্বেতা জিরাট গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ট্রান্সফার হয়ে ডুমুরদোহো পঞ্চায়েতে আসে। সহকরী ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে শ্বেতা কর্মতর ছিলেন ওই সময়। সেখানেই ২০১৫ সাল থেকে কর্মরত ছিলেন অয়ন শীল। একই পঞ্চায়েতে চাকরি করতেন অয়ন শ্বেতা। শ্বেতা পঞ্চায়েতে চাকরি ছাড়ার ২ বছর পর চাকরি ছাড়েন অয়ন। কাজে অনিয়মিত হওয়ায় শোকজ করা হয়েছিল অয়নকে।
advertisement
বলাগড়ের ডুমুরদহ নিত্যানন্দপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে একশো দিনের কাজের স্কিল টেকনিক্যাল পার্সন হিসাবে কাজ করতেন নৈহাটির শ্বেতা। সেই পঞ্চায়েতেই নির্বাহী সহায়ক বা অ্যাসিস্টেন্ট এক্সিকিউটিভ হিসাবে চাকরি করতেন অয়ন শীল।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতের আগেই CPIM আমলের দুর্নীতির পর্দাফাঁস? সুজনের স্ত্রীর চাকরি নিয়েও বিস্ফোরক মন্ত্রী
পঞ্চায়েতের উপ প্রধান শ্যামা প্রসাদ রায় বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, অয়নের গাড়িতে যাতায়াত করতেন শ্বেতা। তবে অয়ন অফিসে অনিয়মিত হওয়ায় সমস্যা হত পঞ্চায়েতের কাজে। এমনও হয়েছে দিনের পর দিন অফিসে যাননি, অথচ বেতন তুলেছেন অয়ন। সে বিষয়ে অভিযোগ জানিয়ে বলাগড়ের বিডিওকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। বিডিও তাকে শোকজ করেছিল। এরই মধ্যে শ্বেতাকে সোমরা বাজার পঞ্চায়েতে বদলি করা হয়।সেখানে যোগ না দিয়ে ২০১৮ সালে চাকরি ছেড়ে দেন শ্বেতা।
আরও পড়ুন: আর চিন্তা নেই, পুরীতে তৈরি হচ্ছেই বাংলার গেস্ট হাউজ! কোথায়? জানিয়ে দিলেন মমতা
তারপরেও অয়ন ডুমুরদহ পঞ্চায়েতে কাজ করেছেন। ২০২০ সালে অয়নও চাকরি ছাড়েন। ব্যান্ডেলের তৃণমূল নেতা শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায় ২ কোটি টাকারও বেশি তুলে অয়নকে দিয়েছিলেন চাকরির জন্য। সুইসাইড নোটে সেটা লিখেও যান তিনি। ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে নিজের ছেলেকে নিয়ে আত্মঘাতী হন শ্রীকুমার। সময় বলছে পঞ্চায়েতে চাকরি করার সময় নিয়োগ দুর্নীতিতে হাত পাকিয়েছিলেন অয়ন শীল।
----রাহী হালদার