সেবায়েতরা ব্যস্ত ছিলেন প্রায় ৩০০ প্রকারের ভোগ প্রস্তুত করতে– এই মহাভোগ প্রভুদের নিবেদন করা হয়ে থাকে। মন্দির প্রাঙ্গণে ঘুরলেই মিলছে ধূপ-ধুনোর গন্ধ, আর একনাগাড়ে ভোগ রান্নার শব্দে মুখর চারপাশ। মূলত চাল, ডাল, ঘি, বিভিন্ন মসলা, শাক-সবজি, মিষ্টান্ন, মণ্ড ও পিঠে জাতীয় খাবারে তৈরি হচ্ছে এক বিশালতর প্রসাদ থালি।
আরও পড়ুন: ‘পঞ্চায়েত’-এর অভিনেতারা এপিসোড প্রতি কত টাকা পারিশ্রমিক পান জানেন? টাকার অঙ্ক শুনলে মাথা ঘুরবে!
advertisement
ভোগ প্রস্তুতির দায়িত্বে থাকা এক প্রবীণ সেবায়েত জানান, “এই ভোগ কিন্তু সাধারণ নয়। নির্দিষ্ট বিধান মেনেই রান্না হয়—যাতে ভক্তি আর পবিত্রতার কোনও ঘাটতি না থাকে।”
রন্ধন কক্ষে রান্নার কাজে নিযুক্ত প্রায় শতাধিক সেবায়েত দিনরাত এক করে পরিশ্রম করছেন। কেউ চাল ধুচ্ছেন, কেউ সবজি কুটছেন, আবার কেউ বিশাল চুল্লিতে হাঁড়ি বসিয়ে দিচ্ছেন। এই প্রসঙ্গে মন্দির কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, “ভোগ রন্ধন ও প্রসাদ বিতরণ প্রভুর সেবা। এই রান্না শুধুমাত্র সেবায়েতরাই করেন, বাইরের কেউ এর কাছে ভিড়তে পারেন না। ভোগের মধ্যে রয়েছে শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্য ও আধ্যাত্মিক বিশ্বাস।”
আরও পড়ুন: CBSE না ICSE? দুই বোর্ডের মধ্যে কোনটি সেরা? মূল পার্থক্য কোথায়? জেনে রাখুন
প্রভুর রথে আরোহনের আগে এই মহাভোগ প্রথমে তাঁকেই নিবেদন করা হবে, তারপর তা বিতরণ হবে ভক্তদের মধ্যে। প্রতি বছর এই মহাভোগ গ্রহণ করতে হাজার হাজার ভক্ত ভিড় জমান মন্দির প্রাঙ্গণে। ভোগ রন্ধন কক্ষে এখন চলছে সেবা—সকলের একটাই লক্ষ্য, প্রভুর রথযাত্রা যেন ভক্তি, ঐতিহ্য ও শ্রদ্ধায় পূর্ণ হয়।
Mainak Debnath