পরিবারে পুত্রের জন্ম হলে তার নাম রাখা হয় ‘রাম’ দিয়েই। নাম একবার ব্যবহার হয়ে গেলে পরবর্তীতে সেই নাম পুনরায় ব্যবহার করা হয় না। বাঁকুড়ার সঙ্গে এই গ্রামের হাত ধরেই ৭৮০ কিলোমিটার দূরে অযোধ্যার বিশেষ যোগসূত্র। সেই যোগসূত্র থাকার কারণেই রামের প্রতি এত নিবেদিত প্রাণ তাঁরা। অযোধ্যা থেকে কর্মসূত্রে রামসরণ মুখোপাধ্যায় এসেছিলেন বাঁকুড়ার এই গ্রামে। ওনার হাতেই আনুমানিক ২৫০ থেকে ৩০০ বছর আগে শালগ্রাম শিলার নিরাকার রাম প্রতিষ্ঠা পায় এই মন্দিরেই।
advertisement
বর্তমানে সাত মুখোপাধ্যায় পরিবার প্রত্যেকেই রামের সেবাইত। পালা করে দিনে তিন বার করে রামের পুজো করেন তাঁরা। সামনেই রামনবমী। তার কারণেই রাম পাড়ার দিকে চোখ থাকছে মানুষের। প্রতিদিন নিত্য সেবার পাশাপাশি রামের পুজো করে থাকেন তাঁরা। তবে রামনবমী বিশেষ পুজোর মাধ্যমে পালন করা হবে রাম পাড়ায়। থাকবে না কোন বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা! শুধুই নিখাদ ভক্তি।
রাম পাড়ার বর্ষীয়ান ব্যক্তি বলেন, ‘‘একটা কথাই বলব যাতে রামচন্দ্র সবাইকে সুখী করেন। আমাদের বহু পুরোনো মন্দির এবং তার ঐতিহ্য। আমার আট পুরুষ ধরে এই পরম্পরা বজায় রেখেছি। রাম নবমীর দিন বিশেষ পুজো হবে। শুধুমাত্র রামের প্রতি নিবেদিত প্রাণ আমরা।”
Neelanjan Banerjee





