অনেকেই দাবি করছেন, দু’জনেই ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। তবে পুরসভার দাবি, বিপ্লব বাবুর ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলেও, বন্দনা দেবীর মৃত্যুর শংসাপত্রে ডেঙ্গির উল্লেখ নেই। এলাকার বাসিন্দারা অবশ্য জানান, এলাকায় ডেঙ্গি সংক্রমণ বাড়ছে। ক্ষুদিরাম সরণীতেই বর্তমানে ৬-৭ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন হাসপাতালেও ভর্তি। অভিযোগ, প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। স্থানীয় কাউন্সিলর এলাকায় এলে তাঁকে ঘিরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় মানুষজন।
advertisement
এলাকবাসীর দাবি, প্রশাসন আগে থেকে একটু তৎপর হলে এভাবে দু’টো প্রাণ যেত না। ক্ষুদিরাম সরণীতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভা লাগোয়া এই এলাকায় এখনও অনেক কিছুর অভাব। রাস্তা পাকা হয়নি। ইট পাতা সঙ্কীর্ণ রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করেন বাসিন্দারা। সরু রাস্তার পাশেই এলাকার নিকাশি নালাগুলি নিয়মিত পরিস্কার হয় না বলেই দাবি। দেখা গেল, অধিকাংশ নালাই খোলা। কোথাও নালা উপচে যাচ্ছে নোংরা জলে। যত্রতত্র জমা আবর্জনাও চোখে পড়েছে একাধিক জায়গায়।
West Bengal, Kolkata News Today Live Updates
বাসিন্দাদের অভিযোগ, বারবার বলেও নালা সংস্কার হয়নি। খোলা নিকাশি নালা ঢাকার ব্যবস্থাও হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা বলেন দীর্ঘ দিন ধরে এই এলাকায় কোনও কাজ হয় না। রাস্তাঘাট খারাপ। অবর্জনা পরিস্কার হয় না। রাস্তায় আলোও নেই। পাশেই কলকাতা পুরসভা। অথচ আমাদের জীবন যাপন অজ গ্রামের মত। পুর কর্মীদের নিয়ে এলাকায় যান কাউন্সিলর। খোলা নালা-সহ বিভিন্ন এলাকায় ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো হয়। কাউন্সিলরকে সামনে পেয়ে ঘিরে ধরে ক্ষোভ উগড়ে দেন বাসিন্দাদের অনেকে। কেন এলাকায় উন্নয়ন নেই, সেই প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। দু’জনের মৃত্যুর পর গ্রামবাসীদের রাগ স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন সকলে।
আরও পড়ুন : একপাল হাতির প্রাণ যেতে বসেছিল, আশঙ্কা ছিল বড় দুর্ঘটনার! দুই সতর্ক চালক রুখে দিলেন সব, এখন সকলের কাছে ‘হিরো’
এলাকায় দেখা গিয়েছে, একাধিক বাড়িতেই কেউ না কেউ জ্বরে আক্রান্ত। কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি। এলাকার বাসিন্দা সাইরুন্নেসা গাজি জানালেন, তাঁর স্বামী বাপ্পা গাজি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আরও এক মহিলা অঞ্জলি মণ্ডল জানান, তাঁর ছেলে প্রশান্ত মণ্ডলও বেসরকারি হাসপাতালে রয়েছেন। বাসিন্দারা জানান, যারা সুস্থ আছেন, তাঁদের অনেকেই ভয়ে এলাকা ছেড়ে আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে উঠছেন। হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে অনেকে বাড়ি না ফিরে অন্যত্র থাকছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এলাকার আরও এক বাসিন্দা লক্ষ্মীকান্ত দাস বলেন, “সতেরো বছরের নাতনির ডেঙ্গি হয়েছিল। হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। সুস্থ হওয়ার পর আপাতত এক আত্মীয়ের বাড়িতে রেখেছি। এখনই এখানে ফেরাতে সাহস পাচ্ছি না। রাজপুর-সোনারপুরের পুরপ্রধান পল্লব দাস বলে,ন ওই এলাকায় এক জনের ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। অন্য জনের মৃত্যুর কারণ ডেঙ্গি নয়। ইতিমধ্যেই পুরসভার তরফে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এলাকায় মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে। আর কেউ আক্রান্ত আছেন বলেও খবর নেই। তাঁর দাবি, অন্যান্য বারের তুলনায় এবার ডেঙ্গি সংক্রমণ অনেকটাই কম। অন্যান্য ওয়ার্ডেও তেমন সংক্রমণের খবর নেই।






