গত পাঁচ বছর ধরে এভাবেই কবিগুরুর জন্মজয়ন্তী পালন করে আসছেন ৮:৫৫-র হাবড়া লোকালের বেশ কয়েকজন মহিলা যাত্রী। এবছর তাঁদের এই উদ্যোগ পাঁচ বছরে পড়ল। শুধু তাই নয়, প্রথম যে বছর এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল তখন এই ট্রেনটির দায়িত্বে থাকা গার্ড ধীরেন্দ্রনাথ মণ্ডল কবিগুরুর প্রতিকৃতিতে মালা দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেছিলেন। এরপর থেকে নির্দিষ্ট ওই ট্রেনটিতে অনুষ্ঠানের দিন ইচ্ছে করেই ডিউটি নিয়ে রবীন্দ্রজয়ন্তীতে সামিল হন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: এবার আরও তাড়াতাড়ি যাতায়াত কলকাতা-শিলিগুড়ি লাইনে, ব্রডগেজে ছুটবে ইলেকট্রিক ট্রেন! জানুন
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তিনি অবসর গ্রহণ করলেও ট্রেনের এক টুকরো স্মৃতি যেন তিনি ভুলতে পারছেন না। তাই বুধবার তিনি অনুষ্ঠানে ফের সামিল হলেন এবং এদিনও কবিগুরুর প্রতিকৃতিতে তাঁর হাতের মালা পড়িয়েই রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হল। মহিলা ও তাঁদের সঙ্গে থাকা কচিকাঁচাদের দেখা গেল রবীন্দ্র সঙ্গীতের তালে মেতে উঠতে। দু’জন নিত্যযাত্রী মহিলাও নৃত্যের তালে সঙ্গ দিলেন। নির্দিষ্ট সময়েই ছাড়ল ট্রেন।
আরও পড়ুন: রেল-ফুড কর্পোরেশনে চাকরির নামে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা, ফের তোলপাড় বাংলা!
চলন্ত ট্রেনের মধ্যেই কবিগুরুর সঙ্গীত, আবৃত্তি, নাচ, গানের মধ্যে দিয়ে পালন করা হল অভিনব রবীন্দ্রজয়ন্তী। উদ্যোক্তারা জানান, ছুটি-সহ বিভিন্ন কারণে ২৫-এ বৈশাখ দিনটিতে সবাই সামিল হতে না পারার কারণেই, একদিন পর ২৬ শে বৈশাখ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর এভাবেই রবীন্দ্র চর্চার মধ্যে দিয়ে ট্রেন ছুটল স্বাভাবিক ছন্দে।
রুদ্র নারায়ণ রায়