কারখানা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, চরম শীত পড়ার আগে এই সময় সবথেকে বেশি উৎপাদন হয়। কারণ, এই সময়েই বালাপোশ, লেপের চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে। তাই এখন প্রচুর পরিমাণে কাঁচামাল মজুত করা হয়েছিল। ঠিক এই সময়ে আগুন লাগায় বড় সড় আর্থিক ক্ষতি হল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন : দরিদ্র পরিবারের বেনজির পদক্ষেপ, কৃষক তাঁর মৃত্যুতে নবজীবন দিয়ে গেলেন অন্যদের
পূর্ব বর্ধমান জেলার দেওয়ানদিঘি থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিযেছে, বিহারের বেগুসরাইয়ের এক ব্যবসায়ী এখানে এসে এই ব্যবসা করছিলেন। তিনি ২০১৩ সাল নাগাদ জিয়াড়া গ্রামে বালাপোশ তৈরির এই কারখানা গড়ে তুলেছিলেন। স্থানীয় অনেকেই এই কারখানায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। বর্ধমান শহর লাগোয়া এই কারখানায় মূলত বালাপোশ ও তুলো তৈরি করা হত। সেই সব সামগ্রী গাড়িতে কলকাতায় পাঠানো হত। সেই কারখানাতেই বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ আগুন লাগে। স্থানীয়রা আগুনের ফুলকি দেখতে পান। সেই আগুনই নিমেষে ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র কারখানায়। প্রাথমিক ভাবে স্থানীয়রাই আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে দমকলকে খবর দেওয়া হয়। শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লাগে বলে দমকলের প্রাথমিক ধারনা।
আরও পড়ুন : পুরভোটের মুখে বাম শিবির ছেড়ে তৃণমূলে, হাওড়ায় রাজনীতিতে বড় বদলের ইঙ্গিত
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আগুনের ফুলকি দেখা যেতেই সন্দেহ হয়। এরপর কুণ্ডলী পাকিয়ে ধোঁয়া উঠতে শুরু করে। তখনই বাসিন্দারা সকলেই আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। কাছাকাছি জলাশয় থেকে জল এনে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়। খবর দেওয়া হয় দমকলে। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন ও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। কিন্তু তুলো ও বালাপোশ-সহ দাহ্য বস্তু মজুত থাকায় আগুন নেভাতে বেশ সমস্যা হয়। যখন আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে, তখন আর কিছুই প্রায় অবশিষ্ট ছিল না।
