আরও পড়ুন: তালা বন্ধ বাড়িতে হঠাৎ জ্বলে উঠল দাউ দাউ আগুন! ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য
প্রশান্ত বিশ্বাস জানাচ্ছেন তার বাচ্চা পলাশকে ভর্তি করার জন্য আজ থেকে ছয় দিন আগে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অগ্নিশ্বর বসাককে জানতে চেয়েছিলেন তিনি বলেছিলেন আজ সকাল দশটা থেকে ফর্ম দেওয়া হবে। কিন্তু ভোর তিনটে থেকে আশেপাশের পাড়া মানুষজন ভিড় করবেন তা তিনি বুঝতে পারেননি, তাই তিনি প্রধান শিক্ষকের কাছে দাবী করেছেন যাতে পাড়ার ছেলেদের অন্তত ভর্তি করে তারপর বহিরাগতদের ফরম দেওয়া হয়।তবে এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক অগ্নিশ্বর বসাক জানান, যেখানে সরকারি বিদ্যালয় স্কুল ছুটদের ফেরাতে নানান উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে সরকারিভাবে সেখানে , এত মানুষ বিভিন্ন পাড়া থেকে বিদ্যালয়ের উপর ভরসা রেখেছে এটা গর্বের বিষয় তবে। তাদেরকে বিগত দিনেও বারংবার জানিয়েছি, নিজ নিজ এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় ভর্তি হয়ে ছাত্র ছাত্রীর সমতা বজায় রাখা দরকার। কারন আমার বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত ১০ জন শিক্ষক শিক্ষিকা থাকলেও উপযুক্ত বসার ঘর নেই এমনকি মিড ডে মিল খাওয়ানো হয় ক্লাস শেষ হবার পর শ্রেণিকক্ষে।
advertisement
আরও পড়ুন: পরপর নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছে এই গ্রামের ছাত্রীরা… শিউরে ওঠা ঘটনা মালদহে
তবে অন্য বিদ্যালয়ে তারা কেন যাচ্ছে না সেটা আমার জানা নেই কিন্তু পরিকাঠামগত ভাবে উন্নয়ন না হয়ে এভাবে ক্রমাগত ছাত্র-ছাত্রীদের কতদিন ভালো পরিষেবা দেওয়া যাবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে স্থানীয়দের দুশ্চিন্তা মুক্ত করে তিনি বলেন ভর্তির ক্ষেত্রে সরকারি বিদ্যালয়ে সীমা না থাকলেও ৭৫ টি ফর্ম দিতে আমি বাধ্য হয়েছি তবে আশা করি এরই মধ্যে হয়ে যাবে। যদি একান্তই না হয় সে ক্ষেত্রে স্থানীয় দুই কাউন্সিলরের সহযোগিতা নিয়ে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শককে বিষয়টি জানিয়ে নিশ্চয়ই ৱব্যবস্থা হয়ে যাবে। তবে পাড়ার ছাত্রছাত্রীরা ভর্তি হবে আগেই।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন দুটি মাত্র ক্লাস ঘরকে মাঝখানে পার্টিশন দিয়ে চারটে ক্লাসরুম বানানো হয়েছে। কিন্তু শিক্ষক শিক্ষিকাদের পঠন পাঠন ও আন্তরিকতায় মুগ্ধ সকলে তাই এই ভিড়।
Mainak Debnath