আলু লাগানোর মরশুমে বাজারে এই মেশিন কিনতে কৃষকদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। চাষিদের মতে, এই যন্ত্রের সাহায্যে আলু লাগানোর কাজ আগের তুলনায় অনেক সহজ, দ্রুত ও সাশ্রয়ী হয়েছে। এক কৃষক জানিয়েছেন, “আগে আলু লাগাতে পাঁচজন মতো শ্রমিক লাগত, এখন এই মেশিনের সাহায্যে একাই পুরো কাজটা করা যায়। ফলে সময় ও খরচ দুইই বাঁচছে।”
advertisement
আরও পড়ুনঃ কম খরচে বেশি ফলন! পঞ্জাবের প্রসিদ্ধ আলু বীজ এখন চন্দ্রকোনার বাজারে, চাষিদের পোয়া বারো
মেশিনটির কার্যপদ্ধতি তুলনামূলকভাবে সহজ। এটি ট্রাক্টরের সঙ্গে সংযুক্ত করে চালান যায়। নির্দিষ্ট দূরত্বে সারি ধরে আলু ফেলে দেয় এবং একসঙ্গে মাটি চাপা দেওয়ার কাজও সম্পন্ন করে। ফলে একবারেই পুরো লাগানোর প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যায়। চাষিদের দাবি, এই মেশিন ব্যবহারে দিনে দ্বিগুণ হারে চাষ সম্ভব হচ্ছে।
আগে যেখানে কয়েক একর জমিতে আলু লাগাতে তিন-চার দিন সময় লাগত, এখন তা এক-দেড় দিনের মধ্যেই সম্পন্ন হচ্ছে। এতে উৎপাদনও বেড়েছে এবং শ্রমিক নির্ভরতা কমেছে। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হওয়ায় মেশিনটির দামও কৃষকবান্ধব। ছোট ও মাঝারি কৃষকরা সহজেই এটি কিনতে পারছেন। গড়বেতার স্থানীয় বাজারে এই মেশিনের চাহিদা এতটাই বেড়েছে যে, অনেক জায়গায় আগাম বুকিংয়ের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে বিক্রেতাদের।
কৃষি দফতরের এক আধিকারিক জানান, “দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি এই মেশিন কৃষিক্ষেত্রে এক বড় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এতে কৃষির উৎপাদন বাড়বে, শ্রমের খরচ কমবে এবং কৃষকরা আরও উৎসাহী হবেন আধুনিক যন্ত্র ব্যবহারে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
গড়বেতার এই উদ্ভাবন এখন অনেক কৃষকের কাছে নতুন আশার প্রতীক। স্থানীয়ভাবে তৈরি হওয়ায় এর রক্ষণাবেক্ষণও সহজ এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ সহজলভ্য। চাষিরা বলছেন, প্রযুক্তির এই সাফল্য শুধু কৃষিকে নয়, তাদের জীবনযাপনকেও বদলে দিতে পারে। সময়, শ্রম ও খরচ – তিন দিক থেকেই উপকৃত হচ্ছেন তারা।





