প্রসঙ্গত মৃত্যুর কয়েক মাস আগে, মরণোত্তর দেহ দানের অঙ্গীকার পত্রে স্বাক্ষর করেছিলেন অশীতিপর প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক নিমাইচরণ খাঁড়া। সোমবার রাতে বার্ধক্য জনিত কারণে তার মৃত্যু হলে মরণোত্তর দেহদান’ এর অঙ্গীকার পত্র মোতাবেক, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাঁর প্রাণ-হীন দেহ। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর নিস্পন্দ দেহ যাতে চিকিৎসা শাস্ত্রের পড়ুয়াদের কাজে লাগে, সেজন্যই অশীতিপর এই শিক্ষক কয়েক মাস আগে মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার পত্রে স্বাক্ষর করেছিলেন।
advertisement
আরও পড়ুন : থ্যালাসেমিয়া নির্ণয়ে বড় পদক্ষেপ, দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে সংগ্রহ হল রক্তের নমুনা
উল্লেখ্য যে, সোমবার রাতে বার্ধ্যক্য জনিত কারণে প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক নিমাইচরণ খাঁড়ার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। এদিন, দেহদানের সময় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন প্রয়াত নিমাই বাবুর দুই কন্যা ও দুই জামাতা সহ আত্মীয়-স্বজন এবং পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের জেলা সহ-সম্পাদক ড. বাবুলাল শাসমল, মেদিনীপুর শহর বিজ্ঞান কেন্দ্রের সম্পাদক সুকুমার সাহা, অফিস সম্পাদক অঙ্কুর কুমার সেন ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
আরও পড়ুন : সিলেবাসের বাইরের পাঠ ! স্কুলেই কাটাতে হল পড়ুয়াদের দুটো সম্পূর্ণ দিন ও একটা রাত
পরিবারের বক্তব্য, নিমাইচরণ বাবু তার শিক্ষকতা জীবনে বহু ছাত্র তৈরি করেছেন যারা আজ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। তবে মৃত্যুর পর হয়ত তার ইচ্ছে ছিল, তার নিষ্প্রাণ দেহ থেকে শিক্ষা নিয়ে বহু ছাত্র সমাজ গড়ার কারিগর হিসেবে তৈরি হবে। তাই তিনি মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার পত্রে স্বাক্ষর করেছিলেন।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
সেইমত তার মৃত্যুর পর দেহ তুলে দেওয়া হয় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষকে।
রঞ্জন চন্দ