TRENDING:

Paschim Medinipur News: মৃত্যুর পরেও বেঁচে রইলেন প্রধান শিক্ষক, কীভাবে জানলে শ্রদ্ধায় মাথা নত হবে আপনার

Last Updated:

শিক্ষকতা জীবনে বহু ছাত্র তৈরি করেছেন যারা আজ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। তবে মৃত্যুর পর হয়তো তার ইচ্ছে ছিল, তার নিষ্প্রাণ দেহ থেকে শিক্ষা নিয়ে বহু ছাত্র সমাজ গড়ার কারিগর হিসেবে তৈরি হবে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুর : অঙ্গদানের সাক্ষী দেখেছে গোটা ভারত। একবার আর নয় বহুবার সফল অঙ্গদান হয়েছে এ বাংলায়। তবে অঙ্গীকার মোতাবেক মরণোত্তর দেহ দানের সাক্ষী রইল বিপ্লবের জেলা মেদিনীপুর। এক শিক্ষকের মৃত্যুর পর তার নিষ্প্রাণ দেহ তুলে দেওয়া হলমেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের হাতে। যা ভবিষ্যতে ডাক্তারি শিক্ষায় প্রয়োজন হবে। পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের সহায়তায়, পরিবারের পক্ষ থেকে ‘মরণোত্তর দেহদান’ করা হল জেলা শহর মেদিনীপুরের বাসিন্দা তথা কেশপুর ব্লকের ধলহারা পাগলীমাতা হাইস্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক প্রয়াত নিমাইচরণ খাঁড়ার। শিক্ষকতা জীবনে একাধিক ছাত্র-ছাত্রীকে তৈরি করেছেন মানুষের মতমানুষ হিসেবে। তবে মৃত্যুর পরেও বজায় রইল সেই শপথ। ডাক্তারি পড়তে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য তার নিষ্প্রাণ দেহ দান করে গেলেন প্রধান শিক্ষক।
শিক্ষক নিমাইচরণ খাঁড়া
শিক্ষক নিমাইচরণ খাঁড়া
advertisement

প্রসঙ্গত মৃত্যুর কয়েক মাস আগে, মরণোত্তর দেহ দানের অঙ্গীকার পত্রে স্বাক্ষর করেছিলেন অশীতিপর প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক নিমাইচরণ খাঁড়া। সোমবার রাতে বার্ধক্য জনিত কারণে তার মৃত্যু হলে মরণোত্তর দেহদান’ এর অঙ্গীকার পত্র মোতাবেক, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাঁর প্রাণ-হীন দেহ। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর নিস্পন্দ দেহ যাতে চিকিৎসা শাস্ত্রের পড়ুয়াদের কাজে লাগে, সেজন্যই অশীতিপর এই শিক্ষক কয়েক মাস আগে মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার পত্রে স্বাক্ষর করেছিলেন।

advertisement

আরও পড়ুন : থ্যালাসেমিয়া নির্ণয়ে বড় পদক্ষেপ, দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে সংগ্রহ হল রক্তের নমুনা

উল্লেখ্য যে, সোমবার রাতে বার্ধ্যক্য জনিত কারণে প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক নিমাইচরণ খাঁড়ার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। এদিন, দেহদানের সময় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন প্রয়াত নিমাই বাবুর দুই কন্যা ও দুই জামাতা সহ আত্মীয়-স্বজন এবং পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের জেলা সহ-সম্পাদক ড. বাবুলাল শাসমল, মেদিনীপুর শহর বিজ্ঞান কেন্দ্রের সম্পাদক সুকুমার সাহা, অফিস সম্পাদক অঙ্কুর কুমার সেন ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

advertisement

আরও পড়ুন : সিলেবাসের বাইরের পাঠ ! স্কুলেই কাটাতে হল পড়ুয়াদের দুটো সম্পূর্ণ দিন ও একটা রাত

পরিবারের বক্তব্য, নিমাইচরণ বাবু তার শিক্ষকতা জীবনে বহু ছাত্র তৈরি করেছেন যারা আজ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। তবে মৃত্যুর পর হয়ত তার ইচ্ছে ছিল, তার নিষ্প্রাণ দেহ থেকে শিক্ষা নিয়ে বহু ছাত্র সমাজ গড়ার কারিগর হিসেবে তৈরি হবে। তাই তিনি মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার পত্রে স্বাক্ষর করেছিলেন।

advertisement

আরও খবর পড়তে ফলো করুন

https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

সেইমত তার মৃত্যুর পর দেহ তুলে দেওয়া হয় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষকে।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
কাশ্মীরের উইলো কাঠ নয়! বাংলার এই কাঠেই এখন তৈরি হচ্ছে ক্রিকেট ব্যাট
আরও দেখুন

রঞ্জন চন্দ

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Paschim Medinipur News: মৃত্যুর পরেও বেঁচে রইলেন প্রধান শিক্ষক, কীভাবে জানলে শ্রদ্ধায় মাথা নত হবে আপনার
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল