দুর্গাপুজো, বাঙালির এই উৎসবে আনন্দে মেতে ওঠে ৮ থেকে ৮০ সব বয়সীরা। পুজো মানে কেনাকাটা। পুজো মানে খাওয়া-দাওয়া। আর তার জন্য প্রয়োজন অর্থের। গ্রামে বা ছোট ছোট শহরে মহিলাদের বেশিরভাগই ঘর গৃহস্থলি সামলাতে ব্যস্ত। ফলে দুর্গাপুজোর আনন্দে সামিল হতে স্বামী বা পরিবারের অন্যদের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হয়।
advertisement
কিন্তু বর্তমান সময়ে মহিলাদের আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ করতে সরকারের পক্ষ থেকে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যার অন্যতম হল স্বনির্ভর গোষ্ঠী। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের থেকে প্রশিক্ষণ ও সরকারি সহায়তায় বিভিন্ন ধরনের জিনিস তৈরি করেন। এইসব জিনিস বিক্রি করে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হয় মহিলারা।
দুর্গাপুজোর আগে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের বানানো জিনিস বিক্রি করার জন্য পাঁশকুড়া পৌরসভা বিশেষ উদ্যোগ নিল। পাঁশকুড়া পৌরসভার বিদ্যাসাগর উদ্যান চত্বরে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের বানানো জিনিস পত্র নিয়ে বসানো হয়েছে একাধিক স্টল। এ বিষয়ে পাঁশকুড়া পৌরসভার চেয়ারপার্সন নন্দকুমার মিশ্র জানান, ‘পৌরসভার বিদ্যাসাগর উদ্যানের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের হাতে তৈরি জিনিসপত্র নিয়ে প্রদর্শনী ও বিপণনের মেলা বসানো হয়েছে। পুজোর আগে মহিলারা নিজেদের তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি করে রোজগার করতে পারবে। ফলে তাদের পুজোর আনন্দ আরও দ্বিগুণ হবে’।
পাঁশকুড়া পৌরসভার উদ্যোগে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নগর জীবিকা মিশনের সহাতায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের হাতে তৈরি জিনিসপত্র নিয়ে বিপণন চালু হয়েছে। স্টলগুলিতে রয়েছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের হাতে তৈরি ঘর সাজানোর জিনিসপত্র থেকে পোশাক পরিচ্ছদ এমনকি বিভিন্ন ধরনের খাবার। ২২ সেপ্টেম্বর সোমবার পর্যন্ত চলবে এই বিপণন। প্রতিদিন দুপুর ২ টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকছে স্টলগুলো। পুজোর আগে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা নিজেদের জিনিসপত্র বিক্রি করতে পেরে খুশি।