সম্প্রতি এমনটাই ঘটছে উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর এলাকায়। তবে তিনি আসল সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় নন, ইনি হলেন পুতুল দত্ত। যাঁর বয়স প্রায় ৭৫ বছর। অবিকল গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মতোই দেখতে হওয়ায় এই বিভ্রান্তিটি তৈরি হয়েছে। তাঁকে একবার দেখলে আর চোখ ফেরানো যায় না। যে কেউ তাঁকে দেখলেই অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করেন, আপনি কি সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের আত্মীয় হন? এক গাল হেসে পুতুল দেবী উত্তর দেন, না, আমি তাঁর কেউ নই। তবে তাঁর একজন ভক্ত।
advertisement
আরও পড়ুন: বোমার মশলা পাচারের পুরানো মামলায় গ্রেফতার
পুতুল দেবীর সদাহাস্য মুখ আর সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মতো চেহারার জন্য এখন এলাকার সেলিব্রেটিতে পরিণত হয়েছেন। মজার ছলে অনেকেই তাঁকে ‘সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়’ বলে ডাকেন। ঘরোয়া অনুষ্ঠানে তাঁর ডাক আসে, আর সেখানেই তিনি হয়ে ওঠেন মধ্যমণি। এই বয়সেও তাঁর গানের গলা মন্দ নয়। গীতশ্রীর গান তিনি এখনও অনায়াসেই গেয়ে ওঠেন। হয়তো বয়সের ভারে মাঝে মাঝে গানের কথাগুলো মনে করতে পারেন না, কিন্তু তাতে কী! তাঁর উপস্থিতিই যেন একটা ভিন্ন পরিবেশ তৈরি করে। নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা তো তাঁকে দেখলেই সেলফি আর রিল বানাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। নাতি নাতনীর বয়সী সেই ছেলেমেয়েদের এমন উৎসাহ দেখে পুতুল দেবীও বেশ মজা পান।
আরও পড়ুন: তড়কার সঙ্গে জড়িয়ে ২৩০০ বছরের ইতিহাস! পলসন্ডার এই পাঞ্জাবি দোকানেরটা চেখে না দেখলে মিস করবেন
ছোটবেলা থেকে অর্থাভাবে গানের প্রথাগত শিক্ষা নিতে পারেননি। কিন্তু শুনে শুনেই রপ্ত করেছেন গীতশ্রীর অসংখ্য গান। পুতুল দত্তের আফশোস, যদি সত্যিকারের গানের তালিমটা নিতে পারতেন!