স্থানীয় বাসিন্দারা এই নিয়ে জানিয়েছেন আগে এই এলাকায় জঙ্গল ছিল। জঙ্গলেই চলত পুজো। পরে ধীরে ধীরে সেই পুজো পরিণত হয় নিত্য পুজোয়। পরে ১৩৭৬ বঙ্গাব্দে, ১৯৬৯ সালে এখানে মন্দির নির্মিত হয়। কালের নিয়মে সেই মন্দিরও পুরোনো হয়ে যায়।
পরে এবছর শুরু হয় নতুন মন্দির নির্মাণের কাজ। কালীপুজো উপলক্ষ্যে মায়ের মন্দির নব কলরবে সেজে ওঠে। স্থানীয়রা প্রায় ৭ কিলোমিটার দূর থেকে পায়ে হেঁটে গঙ্গাজল নিয়ে আসে মন্দির প্রাঙ্গণে। উৎসবের মেজাজে সেজে ওঠে এলাকা।
advertisement
এই নতুন মন্দিরে পুজো দিতে প্রচুর মানুষজন ভিড় করে। এবছর এখানে একসপ্তাহ ধরে অনুষ্ঠান চলবে। নতুন মূর্তিটি ছয় ফুট উচ্চতায় তৈরি করা হয়েছে। মূর্তিটি স্থায়ীভাবে তৈরি করা হয়েছে। মন্দিরের উচ্চতা ৪৫ ফুট।
নতুন মন্দির নিয়ে আবেগঘন হয়ে পড়েছেন গ্রামের প্রবীন ব্যক্তিরা। এ নিয়ে তাঁরা জানিয়েছেন, আগে এখানে জঙ্গল ছিল। জঙ্গলের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় কালীসাধনা করতেন অনেকেই। পরে জঙ্গল হাসিল করার পর সেইসব জায়গায় কালীপুজো শুরু হয়।
আরও পড়ুন- ডোমজুড়ের কালীপুজোর মণ্ডপে দশমহাবিদ্যা থিম! নজর কাড়ছে জেলাবাসীর, দেখেছেন?
সেই দিক থেকে এই এলাকার কালীপুজোগুলো প্রাচীন পুজো হিসেবে পরিচিত। তবে নতুন মন্দিরকে পুরোনো রূপে পেয়ে খুশি স্থানীয়রা। এই মন্দিরে ভবিষ্যতে আরও বড় হয়ে উঠুক এটাই চাইছেন স্থানীয়রা।