দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে একটু একটু করে কোনও রকম চাঁদা ছাড়াই তৈরি হয়েছে এই কালী মন্দির। কালী পুজোয় দুর্দান্ত সাজে সেজে উঠছে এই মন্দির। সোনামুখী শহর যেন দেবীর নগরী। এমন কোনও ওয়ার্ড নেই যেখানে কালী পুজোর কোনও থান নেই। তবু এই অসংখ্য পীঠের ভিড়েও ৫ নম্বর ওয়ার্ড এক বিশেষ মর্যাদার অধিকারী। এখানেই অধিষ্ঠিত আছেন এক সৌন্দর্যময়ী, আধ্যাত্মিক শক্তিমণ্ডিত দেবী — কৃষ্ণকালী মা। স্থানটির নাম কীতডাঙ্গা, আর এই মন্দির আজ সোনামুখীর অন্যতম ঐতিহাসিক ও শিল্পসমৃদ্ধ দেবালয়।
advertisement
আরও পড়ুন: ডোমজুড়ের কালীপুজোর মণ্ডপে দশমহাবিদ্যা থিম! নজর কাড়ছে জেলাবাসীর, দেখেছেন?
পাড়াতে ১৯০ টি বৈষ্ণব পরিবারের বাস। সেই কারণেই বৈষ্ণব ধারাতে কালীপুজো। একদম রীতি মেনে চলবে কালীপুজো। মানুষের ঢল নামবে রাতে। রয়েছে মহাপ্রসাদের আয়োজন। বিরাট বিরাট কড়াইতে রান্না হবে মায়ের ভোগ। এই কালীর রং নীল। মন্দিরে অধিষ্ঠান করছে মা কালী এছাড়াও রয়েছে শ্রীরামকৃষ্ণ, মা সারদা এবং স্বামীজি। রয়েছে সমুদ্র মন্থন এর চিত্র। কৃষ্ণকলি কমিটির সেক্রেটারি চিত্তরঞ্জন মন্ডল বলেন,”লোকে টোটো করে গাড়িতে করে যখন যাচ্ছে আমাদের মন্দির দেখে দাঁড়াচ্ছে। এটাই একটা বড় পাওনা। এলাকার রূপটাই পরিবর্তন হয়ে গেছে।”
আরও পড়ুন: বাংলার দুই স্কুল দেশের সেরা ৩০ স্কুলের তালিকায় নাম তুলল, নাম জানলে গর্ব হবে!
দক্ষিণবঙ্গের একটি সুপ্রাচীন জনপদ হল সোনামুখী৷ যা কালি এবং কার্তিকের শহর নামে পরিচিত। আজ থেকে প্রায় ৪২০ বছর আগে এই শহর ছিল ঝোপঝাড়ে ভরা, শহরের অলিগলিতে সেভাবে জনমানবের বসবাস শুরু হয়নি৷ আজকের জনপদ সেই সময় জনগণ-শূন্য হলেও একটা সুপ্রাচীন ইতিহাস বহন করে নিয়ে চলত, যা হল কালীপুজোর ইতিহাস। এই ব্যস্ত শহরেই, শহুরে জীবনের পাশে একটা ইতিহাস লুকিয়ে রয়েছে৷ একটা সময় এই প্রাচীন জনপদের বাসিন্দাদের আর্থিক অনটন ছিল চরমে। তৎকালীন সময় থেকেই বিভিন্ন কারণে প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ টি কালি পুজো শুরু হয় সোনামুখী শহরে। তার মধ্যে অন্যতম কৃষ্ণ কালী।