সারা বছর লক্ষ্মীপুজোর জন্যই অধীর আগ্রহে বসে থাকে গোটা গ্রাম। পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় সেই বিশ্বকর্মা পুজার সময় থেকেই। এই তিন গ্রামে বড় পুজোর সংখ্যা প্রায় ১৫- ২০টি। ভক্তির পাশাপাশি থিমের জোয়ারে কে কাকে টেক্কা দিতে পারে তারই চলে রেষারেষি। মণ্ডপ সজ্জা থেকে প্রতিমাতে থাকে নতুনত্বের ছোঁয়া। হলদিয়া শিল্পাঞ্চল শহরের পাশেই মূলত এই ৩ গ্রাম কৃষি নির্ভরশীল। তাই এলাকায় শ্রেষ্ঠ উৎসব লক্ষ্মীপুজো হওয়ার পিছনে বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। লক্ষ্মীপুজোকে কেন্দ্র করে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চলে আনন্দ উৎসব। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মেতে ওঠে গোটা গ্রামের মানুষ। গোটা জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থী ভিড় জমান মণ্ডপে মণ্ডপে।
advertisement
৬৯’তম বর্ষে চাউলখোলা অগ্রণী সংঘের পুজোর থিম ‘লক্ষী এলো বাংলার ঘরে’। ধনসম্পদের গোলার আদলে প্রায় ৪০ ফুট উচ্চতার মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে এখানে। যার বাজেট প্রায় ৬ লক্ষ টাকা। পুজোর উদ্বোধন করবেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক। এই ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক অচিন্ত্য মান্না ও হরিপদ কর বলেন, ‘গ্রাম বাংলার মহিলাদের হাতের তৈরি বিভিন্ন কারুকার্যে আমাদের প্রতিমা সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। এছাড়াও শিল্প শহরে দূষণ রোধে চারা গাছ বিতরণ করা হবে’।
অন্যদিকে কিসমত শিবরাম নগর সমন্বয় ক্লাবের পুজোও এবার ৬৯’তম বর্ষে পদার্পণ করল। তাদের এবারের থিম ‘প্রকৃতি’। যেখানে গাছ, পাখি, ফুল ফলের শোভায় ভরে উঠবে গোটা মণ্ডপ। স্থানীয় বাসিন্দা ও স্কুল শিক্ষক অনুপ কুমার পাঁজা জানিয়েছেন, ‘হলদিয়ার এই গ্রামগুলিকে দুর্গাপুজো নয় কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোই বড় উৎসব। প্রতিবছর সেই উপলক্ষে গ্রাম সেজে ওঠে’।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এলাকার অন্যতম বিগ বাজেটের পুজোর মধ্যে কিসমত শিবরামনগর ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র স্মৃতি সংঘের পুজো। তাদের পুজো এবার ৪৯’তম বর্ষে পদার্পণ করল। এবছর তাদের থিম ‘মোবাইল নয়, বই থাকুক’। এই পুজোর উদ্বোধন করবেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি। পুজো কমিটির সম্পাদক ভাস্বৎ সুন্দর বেরা বলেন, ‘পুজোয় খরচ বাঁচিয়ে আমরা থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুকে আর্থিক সাহায্য করবো। এছাড়াও বিভিন্ন মানুষকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে’। ৬৯’তম বর্ষে পদার্পণ করল কিসমত শিবরামনগর বিনয়ী সংঘের পুজো। তাদের এবারের থিম ‘আমি সেই মেয়ে’। চলতি বছর এই পুজোর বাজেট ৫ লক্ষ টাকা। গোটা এলাকা জুড়ে লক্ষ্মীপুজোকে কেন্দ্র করে উৎসবের আবহ তৈরি হয়েছে। কিন্তু বাধ সেধেছে প্রকৃতি।