তায়েব শেখ দুই চোখে দেখত পান না। রাস্তার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে তিনি অনায়াসে লাঠি হাতে নিয়ে “কিছু দিবেন, কিছু দিবেন” বলে হেঁটে চলে যান। কেউ কেউ ফোন বের করে স্ক্যান করে, কেউ আবার উপেক্ষা করে চলে যায়।
মুর্শিদাবাদের নওদার চন্ডীপুর এলাকার এক বিশেষভাবে সক্ষম যুবক। অন্য দশজনের মতো স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারেন না। তাই ভিক্ষা করেই জীবন জীবিকা চালান। কিন্তু সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তিনিও বেছে নিয়েছেন নতুন পথ— ডিজিটাল ভিক্ষাবৃত্তি।
advertisement
আরও পড়ুন- প্রতিদিন বাবা লোকনাথের অগণিত ভক্ত সমাগম! চাকলাধাম ঘিরে পর্যটনকেন্দ্র তৈরির উদ্যোগ
আজকাল অনেকেই নগদ টাকা নিয়ে চলাফেরা করেন না। তাই তায়েব শেখ তার গলায় ঝুলিয়েছেন একটি ইউপিআই স্ক্যানার। কেউ সাহায্য করতে চাইলে নগদ টাকা না থাকলেও ফোন স্ক্যান করেই দিতে পারেন দান। কেউ কেউ সাহায্যের হাত বাড়ান, আবার অনেকেই উপেক্ষা করে চলে যান। কিন্তু তায়েব শেখ থেমে যান না। নিজের মতো করেই বাঁচার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তায়েব শেখ বলেন, অনেকে খুচরো পয়সা নেই বলে ভিক্ষা দিতে পারে না। তাই এখন ইউপিআই ব্যবহার করছি। এখন আর এই সমস্যা নেই। কেউ যদি সাহায্য করতে চায়, তাহলে সহজেই ফোন দিয়ে পাঠিয়ে দিতে পারে। ইউ পি আই তে যে অর্থ জমা হয়, তা একত্রিত করেই দিনের শেষে অন্যান্য জিনিস পত্র ক্রয় করেন, তাও সেই ইউ পি আই ব্যবহার করেই।
আরও পড়ুন- ফের ধেয়ে আসছে বৃষ্টি! কোন কোন জেলায় অঝোর বর্ষণ, কোন জেলায় ফিরছে ঠান্ডা? আবহাওয়ার বড় আপডেট
তায়েব শেখের মতো আরও অনেকে আছেন, যাঁরা সাহায্যের অপেক্ষায় আছেন। আপনি যদি সাহায্য করতে চান, তবে এগিয়ে আসুন। কারণ আপনার একটু সহানুভূতিই কারও জীবনে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
কৌশিক অধিকারী