এই প্রশিক্ষণ শিবিরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জয়নগর ২ নম্বর ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম যেমন কাস্টমহল, ঠাকুরের চক, গড়দেওয়ানি, হানারবাটি এলাকা থেকে ৩০ জন কৃষক অংশগ্রহণ করেন। জৈব চাষের সম্পর্কে বিশদে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এখানে।
জৈব চাষের গুরুত্ব, কীভাবে মাটির স্বাস্থ্য ভাল রাখা যায় ও তার ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয় এখানে। চাষিরা বাড়িতেই কীভাবে কত সহজে নিমাস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র, জীবন্মৃত তৈরি করতে পারবেন সেই সম্পর্কে হাতে কলমে শেখানো হয়।
advertisement
আরও পড়ুন- জোড়া সাইক্লোনিক সার্কুলেশন, জেলার পর জেলায় ঝোড়ো হাওয়া- মেগা ঝড়-বৃষ্টি, ওয়েদার আপডেট
কীভাবে জৈব পদ্ধতিতে সবজি চাষ করা যায় সেই সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেন নিমপীঠ রামকৃষ্ণ আশ্রমের কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের উদ্যান পালন বিভাগের বিষয়বস্তু বিশেষজ্ঞ ড: অরিত্র সরকার। মাটি পরীক্ষার গুরুত্ব ও মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় জৈব সারের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন কৃষি বিজ্ঞানী।
প্রাকৃতিক চাষ বিষয়ে বিশদে আলোচনা করেন শস্য বিজ্ঞান বিভাগের বিষয় বস্তু বিশেষজ্ঞ। প্রশিক্ষণের শেষ দিনে চাষি ভাইদের হাতে জৈব কীটনাশক তৈরির ড্রাম, জৈব ছত্রাক নাশক, জৈব ব্যাকটেরিয়া নাশক, নাইট্রোজেন,ফসফরাস ও পটাশ সমৃদ্ধ জীবানু সার তুলে দেওয়া হয়।এই ব্যাপারে নিমপীঠ রামকৃষ্ণ আশ্রমের কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বিজ্ঞানী ও প্রধান বলেন, চাষী ভাইরা যদি রাসায়নিক সার ব্যবহারের পরিবর্তে জৈব সারের ব্যবহার বাড়ান, তা বলে মাটির স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার হবে। পরিবেশ রক্ষা পাবে।
সুমন সাহা