কথিত রয়েছে, আয়নম এবং কাজল নামে দুই নারীকে এই সময় অপহরণ করেছিল আর্যরা। তাঁদের উদ্ধার করতে বেরিয়েছিলেন হুদুরদুর্গা। পথে দুর্যোগ নেমেছিল। তিনি আর ফিরে আসেননি। তাই প্রত্যেক বছর এই সময় তাঁর খোঁজে গ্রামে-গ্রামে ঘোরা হয়। নাচটি দুঃখের হওয়ায় নতুন পোশাক পরে তা পরিবেশন করা যায় না। পুরনো ধুতি-গেঞ্জি কেচে পরতে হয়। আদিবাসীদের রীতি অনুযায়ী, দুর্গা এক জন ‘বলবান পুরুষ’। যাঁকে খুঁজে পাওয়া গেলে আয়নম এবং কাজলকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ পুজো মিটতেই শহরে কার্নিভালের তোড়জোড়! কোন রাস্তা দিয়ে যাবে শোভাযাত্রা, থাকছে কোন চমক? জানুন খুঁটিনাটি
আদিবাসীদের কাছে এই ‘দাসাই নাচ’ আদতে ‘যুদ্ধনৃত্য’। কানে কানপাশা, পায়ে আলতা-নূপুর, এবং মাথায় ফেট্টি পরে পুরুষেরা এই নাচ দেখান। ফেট্টিতে গোঁজা থাকে পালক। এই দিনে গ্রামের বিভিন্ন রাস্তায় ও বাজারে ঢোল, মাদল, করতালের ছন্দে বিশেষ নৃত্য ‘দাসাই নাচ’ শুরু হয়। তাঁদের বিশ্বাস, ছদ্মবেশে লুকিয়ে থাকা ‘হুদুড়দুর্গা’কে খুঁজে বের করতেই এই নাচের আয়োজন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বহু শতাব্দীর ঐতিহ্য বহন করছে এই ‘দাসাই পরব’।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তাঁদের কাছে এই পরবের মাহাত্ম্যই আলাদা। সেই মাহাত্ম্য মেনে প্রতিবছর মহাষষ্ঠীর দিন থেকেই এই পরব পালনে মাতোয়ারা হন জঙ্গলমহলের লালগড়, বিনপুর, শিলদা, বেলপাহাড়ি, জামবনি সহ বিভিন্ন এলাকার আদিবাসী মানুষজন। আদিবাসী সমাজের একাংশ মনে করেন, তাঁরা মহিষাসুরের বংশধর। আদিবাসীরা গর্বের সঙ্গে নিজেদের এই আচার-অনুষ্ঠান পালন করেন।





