নবদ্বীপ শহরের একাধিক জায়গায় রয়েছে তাঁর বহু স্মৃতি। তেমনই একটি মন্দির নবদ্বীপ শহরের বড়ালঘাট এলাকার রাধারমন সেবাশ্রম মন্দির। জানা যায়, শুরু থেকেই নবদ্বীপ শহরের এই মন্দিরটি মানব সেবায় ব্রতী ছিল, তৎকালীন সময়ে একটি হাসপাতালও তৈরি করেছিল মন্দির কতৃপক্ষ, কথিত আছে সেই সময়ের এটি একমাত্র হাসপাতাল ছিল নবদ্বীপ শহরে। মোটের ওপর ঈশ্বরের আরাধনার পাশাপাশি জীবন্ত মানুষের তথা জনসেবাই ছিল এই মন্দিরের প্রধান ব্রত।
advertisement
আর এই মন্দিরের সেবামূলক কাজের কথা নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর কানে যায় এবং তিনি নবদ্বীপ শহরে আসেন। বড়ালঘাট রাধারমন সেবাশ্রম মন্দিরের তৎকালীন কার্যকর্তাদের সঙ্গে কথাও বলেন এবং তাদের এই সেবা মূলক কাজের প্রশংসাও করেন ও নিজ হাতে সেবামূলক কাজ সহ নবদ্বীপ সম্পর্কেও লিখে যান।
আরও পড়ুন: অনুব্রত মণ্ডলের জন্য ফের দুঃসংবাদ! আদালত যা জানাল, মুষড়ে গেলেন তৃণমূল নেতা
বর্তমানে এই মন্দিরে প্রবেশ করলেই দেখা যায় নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর পূর্ণ অবয়ব মূর্তি, সঙ্গে তাঁর নিজ হাতে মন্দিরের সেবা মূলক কাজের প্রশংসা লেখা ছবি, যেখানে উল্লেখ করা আছে, “নবদ্বীপের রাধারমন সেবাশ্রম পরিদর্শন করিয়া বিশেষ আনন্দ হইলাম, বহু লোক মুখে এই প্রতিষ্ঠানের সুখ্যাতি শুনিয়া আসিতেছি, আজ স্ব-চক্ষে দেখিয়া তৃপ্তি লাভ করিলাম, যাহারা এই প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষক তাহারা ধন্য, ভগবানের নিকট এই পূণ্য প্রতিষ্ঠানটির উত্তরোত্তর উন্নতি কামনা করি,
নবদ্বীপ, ১৩-৬-২৮”
নীচে তার সাক্ষর,,
মন্দিরের তরফে জানা যায়, ২৩ জানুয়ারি দিনটি সন্মানের সঙ্গে আজও পালিত হয় এই মন্দিরে, পালিত হয় দেশের স্বাধীনতা দিবসও। আজও মন্দিরের সেই সব জায়গায় গেলে শিউরে ওঠে শরীর। আজও যেন মনে হয় অনুভব হয় নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর অস্তিত্ব।
আরও পড়ুন: পার্থর জামিনের আবেদনে উষ্মা প্রকাশ বিচারকের, আবেদন প্রত্যাহার আইনজীবীর!
যে ভাবে তিনি ভারতবর্ষের সকলের মনের মণিকোঠায় বেঁচে আছেন, আগামী কয়েক প্রজন্মের কাছেও তিনি এভাবেই থাকবেন, তাঁর জায়গা কেউ কোন দিনও নিতে পারবে না।
—— Mainak Debnath