২১ ফুটের নৈহাটির বড়মার ও তার সঙ্গে ১০০ কেজির উপর স্বর্ণালংকার দেখতে প্রতি বছরই ভিড় জমে ভক্তদের। এবার বড়মার পুজো উপলক্ষ্যে মানুষের ভিড় উপচে পড়েছিল নৈহাটির অরবিন্দ রোডে। যে ভিড় সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে পুলিশ প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবকদের।
বড়মার কাছে কিছু চাইলে কাউকেই খালি হাতে ফেরান না বড়মা, সেই বিশ্বাস নিয়ে বড়মার কাছে ছুটে আসেন অগণিত ভক্ত। জানা যায়, নবদ্বীপে রাস উৎসবে গিয়ে বড় বড় মূর্তি দেখার পর নৈহাটির নদীয়া জুটমিলের কর্মী তথা বিশিষ্ট সমাজসেবী ভবেশ চক্রবর্তী বড় কালী পুজোর প্রচলন করেন।
advertisement
আরও পড়ুন: জ্যোতিপ্রিয়র ব্যাঙ্কের লকার খুলতেই থ ইডি! যা ভেবেছিলেন, দেখা গেল সব উল্টো
পরবর্তীতে বড় কালী বড়মা হিসেবে জনমানষে ছড়িয়ে পড়ে। পুজোর চারদিন দেবীর বিশেষ পুজো করা হয়। প্রত্যেক দিন আলাদা আলাদা করে বড়মাকে ভোগ নিবেদন করা হয়। আমাবস্যার পর থেকেই নৈহাটির বড়মা-র পুজো দিতে লক্ষাধিক মানুষ শুধু দন্ডি কেটেছেন বলে জানালেন মন্দির কমিটির সভাপতি অশোক চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: দল কি আর পাশে নেই? মহুয়া মৈত্র নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত তৃণমূলের! স্পষ্ট হয়ে গেল সব
অন্যদিকে, মন্দির কমিটির সম্পাদক তাপস ভট্টাচার্য বলেন, বড়মার পুজো এবার ১০০ বছর। তাই টানা ১০০ ঘন্টা জনসাধারণের জন্য প্রসাদ বিতরণ করা হবে। বড়মার কাছে আসলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়, এই বিশ্বাস নিয়েই লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয় এখানে। তবে জেলার অন্যান্য পুজোর পাশাপাশি বড়মার কাছে আসার জন্য ভক্তদের আলাদাই টান অনুভব হয় বলে জানালেন বহুভুক্ত। বড়মার প্রসাদ পেতে এখন পড়েছে সুদীর্ঘ লাইন।
—— Rudra Nrayan Roy