এবছর একবার যথারীতি ফলন হয়ে গিয়েছে বাদামের, এরপর পুনরায় অগ্রহায়ণ মাসে বীজ বপন করা হবে এবং বাদাম উঠবে চৈত্র কিংবা ফাল্গুন মাসের দিকে। তবে বর্তমানে সমস্যায় রয়েছে কৃষকেরা, তার কারণ বীজের দাম অত্যাধিক বেশি। প্রায় ১০০ টাকার কাছাকাছি যাচ্ছে বর্তমানে বীজের দাম। আর ফলন ভাল হলেও সেই অর্থে নেই চাহিদা, সেই কারণে বর্তমানে বাদাম বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজি দরে। আর সেই কারণে চাষিরা বাদাম ফলিয়ে সেগুলি মজুত করে রেখে যাচ্ছেন আড়তে। ইতিমধ্যেই গয়েশপুরের আড়তে ৫০ থেকে ৬০ কুইন্টাল বাদাম আড়তে মজুত রয়েছে। কৃষকেরা দাম পাচ্ছে না বলেই মজুত করে রাখছে আড়তে।
advertisement
আরও পড়ুন: ৩ দিন ছুটির পর স্কুল খুলতেই মদের বোতল, গ্লাসে একাকার! অঘোষিত ছুটিতে পড়ুয়ারা
তাইজুদ্দিন মোল্লা নামে এক চাষি জানাচ্ছেন, তার রয়েছে আড়াই বিঘে জমি, চার থেকে পাঁচ কুইন্টাল ফলানো হয়েছে বাদাম। যদিও এই বাদামের বীজ পঞ্চায়েত অফিস থেকে কোন কিছুই দেওয়া হয় না। সরষে, ভুট্টা ইত্যাদির বীজ কিছুটা দিলেও বাদামের বীজ পান না তারা। এই বাদাম বৃষ্টি হলে বেশি ভাল ফলন হয়। এ বছর বৃষ্টি হয়েছে, তবে এখনও দাম উঠছে না বাদামের সেরকম।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বাদাম ফলন হয়ে গেলে ছাড়ানো হয় হাত দিয়েই। মেশিনে ছাড়ানো বাদামের গুণগতমান ভাল হয় না। বাদামের গায়ে কালো কালো ছোপ দাগ পড়ে যায়। বীজের দাম অত্যাধিক বেশি ফলন অতিরিক্ত, তবে বাজারে নেই তেমন চাহিদা। আর সেই কারণেই বর্তমানে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে বাদাম উৎপন্ন করার পরেও সেই অর্থে মুনাফা পাচ্ছেন না কৃষকেরা, এর ফলেই আর্থিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা।
Mainak Debnath





